নেতাজির নিখোঁজ রহস্য জানার অধিকার আছে দেশবাসীর, দাবি মমতার
১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তাইওয়ানের তাইহোকু বিমাবন্দরে বিমানে ওঠার আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর পর আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তাইওয়ানের তাইহোকু বিমাবন্দরে বিমানে ওঠার আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর পর আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর নিঁখোজের ৭৪ বছর পরেও সেই তা রহস্যই রয়ে গিয়েছে। রবিবার সেই উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে দাবি করেছেন, নেতাজির নিখোঁজ রহস্য জানার অধিকার রয়েছে দেশবাসীর।
যদিও ২০১৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর মোদী সরকার জাপান সরকারের মহাফেজখানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জানিয়েছিল নেতাজির মৃত্যু হয়েছে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনাতেই। কিন্তু এর সত্যতা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সেকারণেই মমতার এই টুইট বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী পরোক্ষে বোঝাতে চেয়েছেন মোদী সরকার নেতাজির নিখোঁজ রহস্য ধামা চাপা দিতে চাইছে। সেকারণেই বিমান দুর্ঘটনার তত্বকেই মেনে নেওয়া হচ্ছে। কারণ এখনও অনেকেই দাবি করেন বিমান দুর্ঘটনার পরেও কোনও ক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করেছিলেন নেতাজি।
তাঁর এই নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনে একাধিক কমিশন তৈরি করেছে ভারত। ১৯৫৬ সালে তৈরি হয়েছিল শাহ নওয়াজ কমিিট, ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটি এবং ২০০৫ সালে তৈরি হয়েছিল মুখার্জি কমিশন।