রাজ্যে ওয়েইসির মোকাবিলা কীভাবে ব্যাখ্যা করলেন ত্বহা! 'ভাইজান'কেও নিশানা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ধর্মীয় নেতার
নতুন বছরের রাজ্যে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে মিম। তাদের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ফুরফুরা শরিফে গিয়ে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে ২০২১-এর ভোটের লড়াই নিয়ে আলেচনা করেছেন। ঘোষণা করেছেন ভোটে লড়াইয়ের কথা। এই ঘোষণাকেই টার্গেট করেছেন ফুরফুরা শরিফের অপর পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।

বাংলায় ঢুকলে লাঠি পেটা
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর এক সভায় আসাদউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বাংলায় ঢুকলেই লাঠি পেটা করা হবে। মিমকে বাংলা থেকে পাঠিপেটা করে তাড়াতে সবাই প্রস্তুত থাকুন বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।

নিশানা ভাইজানকেও
রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি হয়েছে ফুরফুরা শরিফেও। একদিকে ত্বহা সিদ্দিকি যেমন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, ঠিক তেমনই ফুরফুরা শরিফের অপর পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি তৃণমূলের ঘোর বিরোধী। যেখানেই তিনি সভা করছেন, সুর চড়িয়েছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। যেই কারণে বাঙড়ের মতো জায়গায় তাঁর অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। ত্বহা সিদ্দিকির নিশানা তাঁর এই ভাইজান অর্থাৎ ভাইপোকে। তাঁর অভিযোগ ভাইজান প্রতারণা করে ফুরফুরা শরিফকে কলঙ্কিত করেছেন। লরেন্স সিটি বানানোর নাম করে ভক্তদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগও তিনি করেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ আব্বাস সিদ্দিকি বাইরে মুসলমান আর ভিতরে গেরুয়া।

মুসলিমদের জন্য কাজ করেছে মমতার সরকার
ত্বহা সিদ্দিকির দাবি করেন, ৩৪ বছরে বামফ্রন্ট সরকার মুসলিমদের জন্য কিছুই করেনি। তাঁর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাও তো কিছু করার চেষ্টা করছে। রাস্তায় বিদ্যুতের আলো, পানীয় জল, রাস্তার উন্নয়ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বরের শুরুতেই মমতার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ত্বহা
ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন অনুগামী। তাঁকে স্মারকলিপি দিয়ে একাধিক দাবির কথা তাতে উল্লেখ করেছিলেন। হাসপাতাল তৈরি হলেও তা চালু না হওয়ার অভিযোগ যেমন করেছিলেন, ঠিক তেমনই পানীয় জল পৌঁছনোর জন্য দ্রুত কাজ শেষে করার দাবিও তিনি করেছিলেন। তবে ত্বহা সিদ্দিকি এিসব দাবির কথা জানালেও, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত আব্বাস সিদ্দিকি এবং ওয়েইসিদের আটকাতেই সেই বৈঠক হয়েছিল।

রাজনীতির আঙিনায় ফুরফুরা শরিফ
এর আগেও ভোট সামনে এলেই রাজনৈতিক নেতাদের ফুরফুসা শরিফে যেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একটু অন্যরকমের। নতুন দল তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন আব্বাস সিদ্দিকি। অন্যদিকে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, তারা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে সমঝোতা করে এগোবেন। তার পরে আব্বাস বলেছেন, তারা প্রাথমিক ভাবে মুসলিম অধ্যুষিত ৮০ থেকে ১০০ টি আসন টার্গেট করেছেন। ফলে এবারের ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। আব্বাস সিদ্দিকিরা মুসলিম ভোট কাটবেন ধরে নিয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

শোভন কি ফের তৃণমূলমুখী হবেন! জল্পনা বাড়িয়ে 'স্পিকটি নট’ থাকার নিদান রত্নাকে