মমতার মোকাবিলায় বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন দল! কত আসনে প্রার্থী, পরিকল্পনা জানালেন মুসলিম ধর্মীয় নেতা
মমতার মোকাবিলায় বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন দল! কত আসনে প্রার্থী, পরিকল্পনা জানালেন মুসলিম ধর্মীয় নেতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) এবং তৃণমূল কংগ্রেসের (trinamool congress) মোকাবিলায় বঙ্গ রাজনীতিতে আরও এক রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে চলেছে। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি (abbas siddiqui) জানিয়েছেন ১০ জানুয়ারি এই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করবে। মূলত রাজ্যে তৃণমূলের মোকাবিলা করতেই এই দল তৈরি করা হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
১০ জানুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দল আব্বাস সিদ্দিকির
১০ জানুয়ারি নতুন দল নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এর আগে তিনি বলেছিলেন ডিসেম্বরই রাজনৈতিক দল গঠন করবেন। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে ফুরফুরা শরিফে এসে বৈঠক করেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট করে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপরে আব্বাস সিদ্দিকির দল গঠন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
রাজনীতির আঙিনায় ফুরফুরা শরিফ
অতীতে ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতাদের ফুরফুরা শরিফে যেতে দেখা গিয়েছে বারবার। এবার আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন নয়, দল তৈরি করে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির। ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদা অনেকদিন ধরেই রাজ্য সরকারের বিরোধী। তিনি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ধর্মীয় প্রচার করে থাকেন। এবার তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করে প্রচারে নামতে চলেছেন।
৮০ থেকে ১০০ আসনে প্রার্থী
আগে
আব্বাস
সিদ্দিকি
জানিয়েছিলেন,
উত্তর
২৪
পরগনা,
দক্ষিণ
২৪
পরগনা,
হাওড়া,
হুগলি,
মুর্শিদাবাদ,
মালদহ
এবং
উত্তর
দিনাজপুরে
তারা
প্রার্থী
দেবেন।
এদিন
সংবাদ
মাধ্যমের
সঙ্গে
এক
সাক্ষাৎকারে
তিনি
জানিয়েছেন,
অন্তত
৮০
থেকে
১০০টি
আসনে
তারা
প্রার্থী
দেবেন।
১০
টি
আঞ্চলির
দলের
সঙ্গে
আলোচনা
চলছে।
পাশাপাশি
রাজ্যের
বাম
ও
কংগ্রেস
নেতৃত্বের
সঙ্গেও
আলোচনা
চলছে
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।
যদি
তা
সফল
হয়
তাহলে
২৯৪
টি
আসনেই
প্রার্থী
দেওয়ার
মতো
পরিস্থিতি
তৈরি
হতে
পারে
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।
তবে
৬০
শতাংশের
বেশি
মুসলিম
ভোট
রয়েছে
এমন
কেন্দ্রগুলিকে
প্রথমে
টার্গেট
করা
হয়েছে।
তিনি
বলেছেন,
তফশিলি
এলাকায়
যেমন
তফশিলি
প্রার্থী
দেওয়া
হবে,
ঠিক
তেমনই
আদিবাসী
এলাকায়
আদিবাসী
প্রার্থী
দেওয়া
হবে।
যদি
প্রার্থী
না
দেওয়া
যায়,
তৃণমূলের
বিরোধী
যোগ্য
প্রার্থীকে
ভোট
দিতে
তারা
আহ্বান
জানাবেন।
বাংলার
মানুষকে
বাঁচানোর
স্বার্থেই
তাঁর
এই
প্রচেষ্টা
বলে
জানিয়েছেন
আব্বাস
সিদ্দিকি।
বরাবরই
তৃণমূলের
বিরোধী
বলে
পরিচিত
এই
আব্বাস
সিদ্দিকি।
রাজ্যে
তৃণমূলের
বিরুদ্ধে
গণতন্ত্র
না
মানার
অভিযোগ
তিনি
করেছেন।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা
বলছেন,
দক্ষিণবঙ্গের
যেসব
জায়গায়
৩০
শতাংশের
বেশি
মুসলিম
ভোটার
রয়েছে
এমন
অন্তত
৮০
থেকে
৯০
টি
আসনে
তৃণমূলের
কাছে
কাটা
হয়ে
উঠতে
পারে
আব্বাস
এবং
ওয়েইসির
জোট।
আব্বাস, ওয়েইসির বৈঠক
রবিবার বাংলায় এসে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে বৈঠক করেছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলায় আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বে তাঁরা লড়াই করবেন। ওয়েইসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের নিয়েই যদি এত চিন্তা, তাহলে গুজরাত যখন জ্বলছিল, তখন কোথায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া লোকেদের কেন আটকাতে পারছেন না মমতা।