শেষ পর্যন্ত নতুন দলের নাম ঘোষণা আব্বাস সিদ্দিকির! বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু নতুন ট্রেন্ড
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) এবং তৃণমূল কংগ্রেসের (trinamool congress) মোকাবিলায় আরও এক রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হল। এদিন কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের নাম ঘোষণা করেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি (abbas siddiqui)। দলের নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front) ।


বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন ট্রেন্ড
প্রথমে ডিসেম্বর, পরে জানুয়ারির ১০ তারিখ ঠিক করা হয়েছিল নতুন দলের আত্মপ্রকাশের সময় হিসেবে। কিন্তু পরে চূড়ান্ত দিন ঠিক হয় ২১ জানুয়ারি। সেই মতো এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের দলের নাম ঘোষণা করলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। নতুন দলের নাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। দলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নৌসাদ সিদ্দিকিকে। তবে এদিনের দল ঘোষণার পরে ধর্মগুরুর দল ঘোষণাকে বঙ্গ রাজনীতির নতুন ট্রেন্ড বলেও বর্ণনা করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সংগঠন বাড়ানোর পরিকল্পনা
জেলায় জেলায় সংগঠন বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও এদিন জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন, জেলায় জেলায় সভা করে দলের নাম জানানোর পাশাপাশি পতাকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। সময় বুঝে ব্রিগেডেও সভা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আব্বাসের নেতৃত্বে লড়তে চেয়েছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি
এমাসের শুরুতে ফুরফুরা শরিফে এসেছিলেন মিমের কর্ণধার আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যে আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বেই লড়াই করবেন তাঁরা। এই ঘোষণার পরে আব্বাসের দল ঘোষণা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আব্বাস সিদ্দিকি 'ধর্ম নিরপেক্ষ' বলেছিলেন সূর্যকান্ত
মাসের শুরুতে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে কথা হলেও আব্বাস সিদ্দিকিকে সাম্প্রদায়িক বলতে রাজি হননি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেছিলেন, আব্বাস সিদ্দিকিকে শুধু একটি মাত্র সম্প্রদায়ের নেতা বলে তারা মনে করেন না। আব্বাস সিদ্দিকির বেশ কিছু ভিডিও তিনি দেখেছেন, ভাষণও শুনেছেন। কোথাও তিনি একটি ধর্মের কথা বলেননি।

নজরে সংখ্যালঘু আসন
আব্বাস সিদ্দিকি এদিন বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে অনেক রাজনৈতিক দলই নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করেছেন। কিন্তু সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তফশিলি জাতি উপজাতিদের সমস্যা দূর করতে কেউ পারেনি। আব্বাস সিদ্দিকি মুখে যাই বলুন না কেন, ত নিশানায় রয়েছে রাজ্যের অন্তত ৭৪ টি আসন। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসনগুলি ছড়িয়ে রয়েছে। এই আসনগুলিতে সংখ্যালঘুর সংখ্যা ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ। এই আসনগুলির মধ্যে ৬০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৬ টিতে বিজেপি এবং ৮ টিতে কংগ্রেস। ফলে আব্বাস সিদ্দিকি সক্রিয় হতে শুরু করতে তা কেবল তৃণমূলকে আঘাত করবে, তা ধরেই নিচ্ছেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
রাজ্য পুলিশে হাজারেরও বেশি সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি