কংগ্রেস ছেড়ে শরদ পাওয়ারের হাত ধরলেন প্রবীণ নেতা, পেলেন ঘরে ফেরার অনভূতি
সপ্তাহ খানেক আগে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন প্রবীণ নেতা পিসি চকো। তিনি মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি অর্থাৎ এনসিপিতে যোগ দিলেন।
সপ্তাহ খানেক আগে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন প্রবীণ নেতা পিসি চকো। তিনি মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি অর্থাৎ এনসিপিতে যোগ দিলেন। নয়াদিল্লিকে একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবং প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলের উপস্থিতিতে পিসি চকো এনসিপি পতাকা হাতে তুলে নেন।
এনসিপিতে যোগদানের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পিসি চকো বলেন, কংগ্রেস ছেড়ে এসিপিতে যোগদান তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তনের মতো। আমি এনসিপিতে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত, এটি আমার জন্য ঘরে ফেরার মতো। সবচেয়ে কঠিন সময়ে আমি পাওয়ার সাহেবের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলাম।
কংগ্রেসের প্রাক্তন ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পিসি চকো। তিনি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বের সমালোচনা করে দল ছেড়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন কংগ্রেসের সংগঠনের শক্তিশালী বিরোধী হওয়ার ইচ্ছার অভাব রয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পরে কংগ্রেস ছাড়া দ্বিতীয় সিনিয়র নেতা চকো বলেন, "দেশের একটি শক্তিশালী বিরোধী দরকার, আমি যে দলটিতে ছিলাম তার মধ্যে সেই প্রচেষ্টা দেখিনি।"
পিসি চকো বলেন, কেরালার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি এলডিএফের পক্ষে প্রচার চালাবেন। "আমি এখন এলডিএফ-র একটি অংশ হয়েছি, আমি কেরালা সফর করব এবং এলডিএফের পক্ষে প্রচার চালাব। চকো দলে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
চকো বলেন, "কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র নেই। প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে রাজ্য কংগ্রেস কমিটি তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। আমি কেরালা থেকে এসেছি যেখানে কংগ্রেস দল নেই। এখানে দুটি দল- কংগ্রেস (আই) এবং কংগ্রেস (এ) রয়েছে। দুটি দলের সমন্বয় কমিটি হল কেপিসিসি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়েন। তারপর দল নেতৃত্বহীনতায় ভুগেছে।