পুজোর ছুটি ভেস্তে যাচ্ছে না, এনজেপি পর্যন্ত চালু হচ্ছে ট্রেন চলাচল, কবে থেকে
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সুদানি নদীর উপর ভেঙে পড়া রেল ব্রিজ মেরামতির কাজ সেনার। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এনজেপি পর্যন্ত যেতে পারে যাত্রীবাহী ট্রেন।
কবে থেকে রেল পরিষেবা চালু হবে এনজেপি-র সঙ্গে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বন্যায় মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের সীমানায় বারসই-এর কাছে সুদানি নদীর উপরে ১৩৩ নম্বর ব্রিজ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কোনওমতে নদীর উপরে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে রেললাইনের কঙ্কাল। বন্যার জল সরতেই এই ব্রিজের ভয়াবহতা সামনে এসেছিল। এছাড়াও বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে কুমেদপুর ও খুরিয়াল-এর মাঝে আরও একটি রেল সেতু। এর ফলে প্রায় ১৫ দিন হতে চলল এনজেপি-র সঙ্গে বন্ধ রেল যোগাযোগ। বন্যার জলের মধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেনার সাহায্যে এই ব্রিজ মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছিল রেল। সম্প্রতি সুদানি নদীর উপরে রেল ব্রিজ-এর হাল এবং তার মেরামতির ছবি সামনে আসে। রাতের অন্ধকারে ক্রেনের সাহায্যে সেই ব্রিজ মেরামতির কাজের ছবি সবার প্রথমে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিল ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা। এবারও ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার হাতে এসেছে বেশকিছু ছবি এবং ভিডিও, যাতে দেখা যাচ্ছে কতটা দ্রুততার সঙ্গে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে ভেঙে পড়া রেল ব্রিজ মেরামতির কাজ চলছে।
এইসঙ্গে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার হাতে এসেছে রেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি। যা মালেগাঁও রেল ডিভিশন থেকে জারি করা হয়েছে। এতে স্পষ্টতই উল্লেখ করা হয়েছে যে সবকিছু ঠিকঠাক চললে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুধু এনজেপি নয় গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় পর্যন্তও ট্রেন চলাচল করবে।
মালেগাঁও হল উত্তর সীমান্ত রেলের সদর দফতর। আর সেখান থেকেই উত্তর সীমান্ত রেলের অধীনের ডিআরএম-দের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে এনজেপি রুটে রেল চলাচল শুরু হলেও তা হবে আংশিক। কারণ, সুদানি ব্রিজের উপর আপ এবং ডাউন লাইন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। একই অবস্থা, বারসই-এর কাছে কুমেদপুর-খুরিয়াল-এর মাঝে ১১ নম্বর ব্রিজেও।
মালেগাঁও থেকে জারি হওয়া এই চিঠিতে জানা যাচ্ছে, আপাতত সুদানি-টেলতার মাঝে ১৩৩ নম্বর ব্রিজের আপলাইন এবং কুমেদপুর-খুরিয়াল-এর মাঝে ১১ নম্বর ব্রিজের ডাউন লাইনকে জরুরি ভিত্তিতে ট্রেন চলাচলের যোগ্য করা হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রী ট্রেন চালানোর আগে অবশ্য ২৯ অগাস্ট বিকেল ৪টা থেকে সীমিত সংখ্যক মালগাড়ি ওই রুটে চালানো হবে। আসলে কোথাও রেল লাইন নষ্ট হলে বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মেরামতির পর আগে মালবাহী ট্রেন চালিয়ে সক্ষমতা যাচাই করা হয়। রেল লাইন আদৌ কতটা লোড নিতে পারছে তা দেখাই এর উদ্দেশ্য। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনকে এই রুটে পাস করানো হবে বলে এই চিঠিতে জানানো হয়েছে।
এই ট্রেনগুলির মধ্যে আছে--
এছাড়া কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস তার নির্দিষ্ট সময় মেনেই যাতায়াত করবে। এরসঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাটিহার থেকে এনজেপি ভায়া নকশালবাড়ি পর্যন্ত এক জোড়া ডিইএমইউ ট্রেন চলাচল করবে বলে এই চিঠিতে জানানো হয়েছে। এই অনুযায়ী এইসব ট্রেনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব রেলওয়ে-কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং যাত্রীদেরও এই মর্মে আইভিআরএস, অল ইন্ডিয়া নেটওয়ার্কিং-এর ১৩৯ নম্বর দ্বারা তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এমনকী এসএমএস-এর মাধ্যমেও যাতে ট্রেন যাত্রীদের অবগত করা যায় তাও এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রয়োজনে যাত্রীদের জানানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে এসএমএস ছাড়তে বলা হয়েছে। স্টেশনের পিএ সিস্টেম এবং ঘোষণার মাধ্যমে বারবার যাত্রীদের অবগত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।