তৃণমূলে ফেরার দরজা বন্ধ হল নির্দল প্রার্থীদের, বহিষ্কারের পর কড়া নিদান পার্থর
রাজ্যের ১০৮ পুরসভা ভোটে নির্দল প্রার্থীর হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নির্দল-কাঁটায় জেরবার। কড়া পদক্ষেপ নিয়েও নির্দল কাঁটা উপড়ে ফেলতে পারেনি তারা।
রাজ্যের ১০৮ পুরসভা ভোটে নির্দল প্রার্থীর হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নির্দল-কাঁটায় জেরবার। কড়া পদক্ষেপ নিয়েও নির্দল কাঁটা উপড়ে ফেলতে পারেনি তারা। বহু প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তবু প্রত্যাহার হয়নি নির্দল প্রার্থীদের মনোনয়ন। তাই এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, নির্দলরা জিতলেও তাঁদের দলে নেওয়া হবে না।
রবিবার পর্যন্ত নির্দল হয়ে দাঁড়ানো অনেককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরও অনেকে দলের কথা না শুনে নির্দল হয়ে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। অনেকে বলছেন, নির্দল হিসেবে জিতে তারা আবার তৃণমূলে ফিরবেন। কিন্তু তাদের ফেরার দরজা বন্ধ করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দলের প্রার্থীদের হারিয়ে জেতার স্বপ্ন দেখে যদি কেউ ভেবে থাকেন দলে ফিরে আসবেন, সেই ভাবনা সফল হবে না। তিনি তাঁর ব্যাখ্যায় বলেন, নির্দল প্রার্থীরা ফিরতে পারবেন না দলে। কারণ যাঁরা নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা কেউই জিততে পারবেন না। তাই তৃণমূলে ফেরার রাস্তা বন্ধ। তাঁদের আর দলে ফেরা হবে না।
যাঁরা দলের কথা না শুনে ভোট লড়ছেন, তাঁদের জন্য কড়া নিদান দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে দল ছেড়েও অনেকে ফিরে এসেছেন। ফলে কেউ যদি ভেবে থাকেন তাঁদেরও ফিরতেও অসুবিধা হবে না, তবে তাঁরা ভুল ভাবছেন। এ প্রসঙ্গে বলেন, সবাই এখনও ফিরতে পারেননি দসলে। যাঁরা ফিরেছেন, তাঁরা ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন বলে।
শুধু এবারই নয়, কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রেও এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দু-একজন নির্দল প্রার্থী জয়যুক্ত হয়েছিলেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যাঁরা হেরেছেন তাঁরাই গুরুত্ব পাবেন, দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাঁরা নির্দল হিসেবে জিতে এসেছেন, তাঁদের ফেরানো হবে না। আজও ফেরানো হয়নি তাঁদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফরে সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। নির্দল হয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধাচারণ করবেন, আবার দলে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখবেন, দুটো একসঙ্গে হবে না।
তৃণমূলের সঙ্গে আই প্যাকের সম্পর্ক নিয়েও ফের মুখ খোলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সরাসরি আই প্যাকের নাম না করলেও প্রয়োজন পড়লে পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। পরামর্শ নেওয়া হলেও সিদ্ধান্ত নেবে দলই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দলের হয়ে শেষ কথা বলবেন। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।