তৃণমূল মহাসচিবকে মদনের পাশে দাঁড় করালেন মুকুল, পাল্টা বাণ ছাড়লেন ‘বাচ্চাছেলে’ পার্থ
নোয়াপাড়া নির্বাচনের পর একটু মুসড়ে পড়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর বিজেপির পঞ্চায়েত কমিটির মাথায় বসার পর থেকেই ফের স্বমহিমায় ফিরেছেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন তাঁর বাক্যবাণের।
নোয়াপাড়া নির্বাচনের পর একটু মুসড়ে পড়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর বিজেপির পঞ্চায়েত কমিটির মাথায় বসার পর থেকেই ফের স্বমহিমায় ফিরেছেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন তাঁর বাক্যবাণের। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে যুবমোর্চার সভা থেকে তাঁর এক সময়ের সহকর্মী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিঁধলেন চাঁছাছোলা ভাষায়।
[আরও পড়ুন:উন্নয়নের বালাই নেই! মমতার সরকারের বিরুদ্ধে বেফাঁস দলেরই বিধায়ক, বাড়ল জল্পনা]
মুকুল রায় বলেন, 'মদন মিত্র যদি চিটফান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে এক বছরের বেশি সময় জেল খাটতে পারেন, তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন কেন। তিনিও তো প্রয়াগের মালিককে পাশে নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই সংস্থাকে সাহায্য করেছিলেন। তাহলে এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? তিনিও যখন একই দোষে দুষ্ট, তাঁকেও সিবিআই বা ইডি-র তলব করা উচিত।'
এ প্রসঙ্গেই মুকুল রায় আরও বলেন, 'সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন লাইন দিয়ে তৃণমূল নেতানেত্রীদের সিবিআই বা ইডির কাছে যেতে হবে।' মুকুলের এই আক্রমণের মুখে পড়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপির এই সমস্ত এলেবেলে নেতাদের কথার উত্তর দেওয়ার মতো প্রবৃত্তি হয় না।'
[আরও পড়ুন:তৃণমূল চোরের দল! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মমতার সরকারকে নিশানা মুকুল রায়ের]
তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, 'বিজেপি নেতারা আগাম জানতে পারছেন কী করে যে, কাকে ডাকবে, কাকে ডাকবে না। তাহলে কি সিবিআই বা ইডি বিজেপির কথাতেই চলছে? অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই ঠিক। এ প্রসঙ্গে আরও প্রশ্ন ছুড়ে দেন পার্থ। তিনি বলেন, যদি এমন অভিযোগই থাকে, তাহলে এতদিন কেন সিবিআই বা ইডি ডাকল না?'
পার্থবাবু এ প্রসঙ্গে মুকুল রায়কে হাফ নেতা বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, 'এসব হাফ নেতাদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। এঁরা বলতে হয় বলে, করতে হয় করে। তাই তাঁদের কথা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। আর এসব বাজে কথার উত্তর দেওয়ার সময়ও নেই। সময় এলে মানুষই এর উত্তর দিয়ে দেবেন।'