আরও বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়! এসএসসি মামলায় রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
আরও বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়! এসএসসি মামলায় রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বিপাকে পড়লেন এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্ষা কবচের আবেদন। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বরখাস্ত করার বা দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
১৮ মে বুধবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়ে সোজা সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেদিনও তিনি হাইকোর্ট থেকে কোনও রক্ষা কবচ পাননি। আবেদবনে ত্রুটি থাকায় ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় নির্দেশ দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগে তিনি সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দেন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়। তারপর তিনি সিবিআই দফতর থেকে ছাড়া পান।
সিবিআই দফতরে গেলেও তিনি হাইকোর্টে যুদ্দ জারি রাখেন। বৃহস্পতিবার তিনি ফের আবেদন করেন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পবিত্র তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় রক্ষা কবচের আবেদন খারিজ করে দেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছিলেন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় থেকে প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারার অংশটি বাদ দেওয়ার। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও একটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আশা করব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন নিজে থেকেই। অন্যথায় তাঁকে সরিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপাল। এই অংশটিও বাদ দেওয়ার আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তাঁর পদ থেকে অপসারিত হওয়া বা অপসারিত করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়।
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের তলব করেছে সিবিআই। তাঁকে আগামী সপ্তাহে সিবিআই তলব করেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেরায় কিছু অসঙ্গতি মিলেছিল। তাই তাঁকে ফের তলব করা হল বলে জানানো হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরার দিনেই জেরা করা হয়েছিল উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ জনকেও। কিন্তু তাঁদের বয়ানের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ান কিছু কিছু জায়গায় মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, উপদেষ্টা কমিটি কেন গঠন করা হয়েছিল আর কে তা নিয়ন্ত্রণ করত। সেখান পার্থবাবু জানিয়েছিলেন, তা তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এই সংক্রান্ত কিছু অসঙ্গতির কারণেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের তলব করা হল। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও রক্ষা কবচ পাননি। ফলে সিবিআইয়ের ফের তলবে তিনি আরও বিপাকে পড়ে গেলেন।