পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। তাঁকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সাতজনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সোমবার আদালতে জামিনের কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ, কিন্তু তা কর্ণপাত করল না আদালত।
শীত আসছে, তাই জামিন চেয়ে কাতর আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাতর আবেদনেও কাজ হল না। সেই জেলেই যেতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ শীতের শুরুটা তাঁকে জেলেই কাটাতে হবে। আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে প্রাক্তন এসএসসির চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন এসএসসি কর্তা এসপি সিনহা, সাতজনের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর আদালতে তোলার পর বলেছিলেন, আমার শরীর সায় দিচ্ছে না। রোজ রোজ আমার বিরুদ্ধে নতুন নতুন কেস দেওয়া হচ্ছে। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দিন। আমাকে আমার মতো করে বাঁচতে দিন। আমাকে জামিন দিন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেই বার্তার পরও মন গলেনি বিচারকের।
সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হলে তিনি সটান কোর্ট চত্বরে নেমে হেঁটে আদালে ঢোকেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে নানা প্রশ্ন করলেও কোনও উত্তর করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে আইনজীবীরা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা বলে জামিন চান। বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মানসিক অবস্থাও ঠিক নেই।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এদিন প্রশ্ন তোলেন, এই ১৪ দিনে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কী পেলেন? আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কী পেলেন যে, আরও জেলে রাখার আবেদন করেছে তদন্তকারী সংস্থারা। আদালতে এদিন পার্থবাবুর জামিনের আবেদন জানান আইনজীবীরা। আইনজীবীরা জানান, পার্থবাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। শীত পড়লে আরও খারাপ অবস্থা হতে পার। তাই যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। এজলাসে হাতজোড় করে পার্থবাবু নিজেও বিচারককে বলেন, আমার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। আমাকে জামিন দিন।
উল্লেখ্য, আগের দিন আদালতকে সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে জামিন দিলে সমস্যা হবে। এরপর আলিপুর আদালত সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শেষ করতে আর কতদিন সময় লাগবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই ৬ মাসের সময় লাগবে বলে জানায়। কিন্তু এই ১৪ দিনে কোনও কিছু বের হয়নি বলে দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।