যাদবপুর-কাণ্ডে রাজ্যপালকে প্রশাসনিক বাধ্য-বাধকতার ‘পাঠ’ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
যাদবপুর-কাণ্ডে নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকছে তৃণমূল। রাজ্যাপালের পদের প্রতি সম্মান জানিয়েই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, রাজ্যপাল নিশ্চয়ই উপাচার্য, অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের প্রতি সুবিচা
যাদবপুর-কাণ্ডে নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকছে তৃণমূল। রাজ্যাপালের পদের প্রতি সম্মান জানিয়েই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, রাজ্যপাল নিশ্চয়ই উপাচার্য, অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের প্রতি সুবিচার করবেন। এই প্রত্যাশা রয়েছে আমাদের। আমরা উপাচার্য, অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের পাশে রয়েছে। প্রশাসন সর্বদা চেষ্টা করেছে শান্তিপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে।
পার্থবাবু বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত পড়ুয়া এই লাঞ্ছনা এবং ক্যাম্পাসে তাণড্ব চালিয়েছে, অবশ্যই আমাদের শাস্তি দিতে হবে। তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তার আগে আমরা উপাচার্য ও অন্যান্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। এই মর্মে তিনি বলেন, একটা কথা স্মরণ রাখা জরুরি যে উপাচার্যের অনুমতি ব্যতীত পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারে না।
উল্লেখ্য, যাদবপুরে এবিভিপির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি ক্যাম্পাসে ঢুকতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একাংশ ছাত্রছাত্রী তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বাবুল অভিযোগ করেন, তাঁর চুলের মুটি ধরে টানা হয়েছে। তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে।
এরপর পাল্টা অভিযোগ করেন পড়ুয়ারা। তাঁরা বলেন, মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা মারধর করেছেন তাঁদের। তারই জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখেন ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশের কোনও ভূমিকা না থাকায় রাজ্যপাল নিজে উদ্যোগ নিয়ে আচার্য বা একজন অভিভাবক হিসেবে ক্যাম্পাসে ঢুকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করে আনেন। এরপরই তৃণমূল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালেন সংঘাত শুরু হয়।