শুভেন্দু দূরত্ব বাড়িয়েই চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে, অবশেষে মুখ খুললেন মহাসচিব পার্থ
শুভেন্দু দূরত্ব বাড়িয়েই চলেছেন তৃণমূলের সঙ্গে, অবশেষে মুখ খুললেন মহাসচিব পার্থ
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সামনেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে তাঁর মতো জননেতা শাসক শিবিরে দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন। ক্রমেই তৃণমূলের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁর সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ। কেননা একের পর এক ঘটনায় তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ফারাক বেড়েই চলেছে।
হুল দিবসের পর আদিবাসী দিবসেও শুভেন্দু দূরে
আগে হুল দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। সেদিনই হুল দিবসের অন্য এক অনুষ্ঠানে তিনি হাজির হয়েছিলেন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আদিবাসী দিবসে। দলের মহাসচিব উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু এড়িয়ে গেলেন সরকারি অনুষ্ঠান। তারপরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উঠল চরমে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পড়তে হল সেই প্রশ্নবাণের সামনে
তৃণমূলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই অবস্থায় আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পড়তে হল সেই প্রশ্নবাণের সামনে। ঝাড়গ্রামে সিধু-কানু মঞ্চের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু এলে ভালো হত। কিন্তু তিনি এলেন না। কী আর বলব, আমি তো এখানে বিতর্ক তৈরি করতে আসিনি।
সরকারি অনুষ্ঠানে না গেলেও শুভেন্দু আদিবাসীদের পাশে
উল্লেখ্য, সরকারি অনুষ্ঠানে না গেলেও, শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কিছুটা দূরে কলাবনির পিয়ারডোবায় বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদয়াপন অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দাবি, গত ১০ বছর ধরে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন শুভেন্দু। অনুষ্ঠানে ৫০টি ক্লাবকে ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং ১০টি লোকসংস্কৃতি দলকে ধামসা মাদল বিতরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বহুবারই জল্পনা বাড়িয়েছেন তৃণমূলে
এর আগে শুভেন্দু বহুবারই জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূল এবং সরকারি অনুষ্ঠানকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন যাতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি তৃণমূলের থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। এমনকী সমান্তরাল জনসংযোগও চালানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
শুভেন্দু তৃণমূলের সমন্বয়-বৈঠকেও যোগ দেননি
শুধু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াই নয়, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সমন্বয় কমিটির বৈঠকেও যোগ দেননি। তিনি চিঠি লিখে মহাসচিবকে জানান বিশেষ কাজে তিনি যোগ দিতে পারছেন না, পরবর্তী বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন। তিনি চিঠি লিখলেও জল্পনা থামেনি তাঁর পদক্ষেপ নিয়ে।
খোল বাজিয়ে রামনামে মাতোয়ারা তৃণমূলমন্ত্রী শুভেন্দু
এরপর সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে খোল বাজিয়ে রামনামে মাতোয়ারা তৃণমূলমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মুখে রাম নাম শুনেই জল্পনার পারদ চড়ে যায় নিমেষে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন বিজেপি নেতারা রামপুজো করেছেন, কিন্তু তৃণমূলের হেভিওয়েট রামপুজো করবেন দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে, তা কেউ ভাবেননি।
শুভেন্দুর বিজেপি-যোগ নিয়ে জল্পনা চলছেই
কিন্তু সেটাই হওয়ায় শুভেন্দুর বিজেপি-যোগ নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়ে যায়। শুভেন্দু তৃণমূলে যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। সম্প্রতি রদবদলে পর্যবেক্ষক পদ উঠে যাওয়ায় জেলার দায়িত্ব হাতছাড়া হয়েছে শুভেন্দুর। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়নি। তাঁর অনুগামীরা রাজ্য সভাপতি পদ দাবি করেছিলেন, পরিবর্তে শুধু দুই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন শুভেন্দু। তাই শুভেন্দুও মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
দিলীপের অঙ্ককেই মান্যতা দিলেন অর্জুন, বাংলায় বিজেপির সম্ভাব্য আসন নিয়ে বার্তা