কান্নার কী আছে, কোনও চক্রান্ত হয়নি! আবেগতাড়িত হয়ে পদত্যাগ না করার বার্তা পার্থর
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করেছিলেন বৈশাখী ও শোভন। সেই অভিযোগ সমূলে উৎখাত করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করেছিলেন বৈশাখী ও শোভন। সেই অভিযোগ সমূলে উৎখাত করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন বৈশাখী। তার প্রত্যুত্তরে পার্থ বলেন, হাইহাউ করে কাঁদছেন কেন, আমাকে তো বললেই হত। কেউ কোনও চক্রান্ত করেনি। সবই মিথ্যা অভিযোগ।
শোভন-বৈশাখীর অভিযোগের পর পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শোভন এখনও দলেই রয়েছেন। তিনি দলের বিধায়ক, কাউন্সিলর। তাই তাঁকে ফেরানোর কোনও প্রশ্নই নেই। হ্যাঁ শোভনকে সক্রিয় করতে গিয়েছিলাম দলে। আর তাতে কোনও শর্তও ছিল না
পার্থ বলেন, আমি সেদিন মন্ত্রী বা শিক্ষা দফতরের প্রধান হয়ে শোভনের বাড়িতে যাইনি। আমি গিয়েছিলাম পার্থদা হিসেবে। আমরা একই দলের সদস্য। সেহেতু আমাদের মধ্যে কথা থাকতেই পারে। দুজন রাজনীতিকের মধ্যে কথা হলে তো রাজনৈতিক কথা হবেই। তা-ই হয়েছে।
তারপরই তিনি বলেন, আমাকে এখনও রক্ষকই মনে করবেন বৈশাখী, নাকি ভক্ষক মনে করবেন, এটা তাঁর ব্যাপার। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চক্রান্ত হয়নি। কান্নার কী কাছে, তিনি এসে বললেই পারতেন কী সমস্যা, শিক্ষা দফতর দেখবে কীভাবে সাহায্য করা যায়।
পার্থ এ প্রসঙ্গে বলেন, বৈশাখী এফিসিয়েন্ট বলেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি বলব আবেগতাড়িত হয়ে ক্ষোভের বসে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। পদত্যাগ না করে নিজের দায়িত্ব পালন করুন। আমার তরফ থেকে আমি চেষ্টা করেছি, আবারও করব। তবে কেউ যদি আরও বড় জায়গা পায়, তিনি তো যেতেই পারেন।