রাজ্যপাল যদি নিজের মুখটা লকডাউন রাখতেন! তাহলে কী হত জানালেন তৃণমূল মহাসচিব
রাজ্যপাল যদি নিজের মুখটা লকডাউন রাখতেন! তাহলে কী হত জানালেন তৃণমূল মহাসচিব
করোনা লকডাউনের মধ্যে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কে রাজনীতির রং লেগেছে। বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে একে একে বাক্যবাণ হেনেছে এমনকী এই রেশ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপালও। রাজ্যপাল টুইট করে কেন্দ্রের যোজনার কথা প্রচার করছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যপালের মুখ লকডাউন রাখার বার্তা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যপাল
রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিতর্ক চলছে। সেই সঙ্গে রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে বিবৃতির যুদ্ধ চলছে। মঙ্গলবারও রাজ্যপাল টুইট করে রাজ্যকে একহাত নিয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া হাতে তা দমন করার বার্তা দিয়েছেন।
রাজ্যপালের টুইটে কেন্দ্রের যোজনা
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার বার্তাই দেননি তিনি, তিনি মঙ্গলবার টুইট করে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা জানান। এই প্রকল্পে পাঁচ কেজি করে চাল ও পরিবার পিছু ১ কেজি করে ডাল বরাদ্দ হয়েছে।
রাজ্যপালের এই টুইট আগুনে ঘৃতাহুতি
রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের মধ্যে রাজ্যপালের এই টুইট আগুনে ঘৃতাহুতি দেওয়ার মতোই। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যের উদ্দেশ্যে জানান, কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে চলা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। তারপরই বিকেলে তিনি রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের মুখ লকডাউন করার কথা বলেন।
বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন রাজ্যপালের
পার্থ বলেন, রাজ্যপাল যদি মুখটা লকডাউন রাখতেন তাহলে তাঁকে এতটা ভুল বুঝত না রাজ্যের মানুষ। রাজ্যপাল এখন এ রাজ্যে বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করছেন। কেন্দ্র যা বলছে, তা-ই ধ্বনিত হচ্ছে রাজ্যপালের মুখে। তাই তাঁর মুখ লকডাউন রাখাই শ্রেয়।
পাঁচ মাসিক কিস্তিতে সরকারি কর্মীদের এক মাসের বেতন কাটবে কেরল সরকার