পঞ্চায়েতে তৃণমূলই ‘ভরসা’ বিজেপির! মুকুলের নির্বাচনী কৌশলকে ‘বিগ জিরো’ দিলেন পার্থ
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই বাংলার মানুষ জবাব দিয়ে দেবেন বিজেপিকে। তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব বলেন, এবারও রাজ্যে পদ্ম ফুটবে না। ফুটবে না পদ্মের একটা পাপড়িও।
মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যা ছিলেন, বিজেপিতে গিয়েও তা থাকবেন- সেই ভাবাটাই তো ভুল। সেই জবাব পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই বাংলার মানুষ দিয়ে দেবেন বলে মনে করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব বলেন, এবারও রাজ্যে পদ্ম ফুটবে না। ফুটবে না পদ্মের একটা পাপড়িও।
[আরও পড়ুন: কেষ্টর-র জেলায় পলকা হচ্ছে তৃণমূলের ভিত! 'কৌশল'-এ সভা ভরানোর অভিযোগ বিজেপির]
সম্প্রতি মুকুল রায় বিজেপিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি এই নির্বাচনের দায়িত্ব পাওয়ার পরই ফের তাঁর গুরুত্ব বৃদ্ধিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তারই পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, মুকুল রায় কতখানি বেগ দিতে পারবেন তৃণমূলকে। কেননা বিগত নির্বাচনগুলিতে তিনি ডাহা ফেল করেছেন।
বিজেপিতে মুকুলের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, মুকুল রায় ওই দল গিয়েছেন আমাদের থেকে কিছু দেবেন বলে।। কিন্তু সেই দেওয়া-নেওয়ার হিসেব নিতান্তই শূন্য থেকেছে। ভবিষ্যতেও তা শূন্য থাকবে। শূন্য ছাড়া কিছুই দিতেই পারবেন না মুকুল রায়।
পার্থবাবুর ব্যাখ্যা, ওঁদের দলের নিজস্ব কোনও শক্তি নেই। নিজেদের দলে কেউ নেই। পুরো দলটাই অন্য দলের উপর নির্ভরশীল। তৃণমূল থেকে মুকুল রায় কাকে ভাঙিয়ে আনবেন তাঁকে প্রার্থী করবে বিজেপি। এইভাবেই একটা দল নির্বাচনে লড়াই করবে, এবং তা নিয়ে জেতার স্বপ্ন দেখবে। এই স্বপ্ন দিবাস্বপ্ন হয়েই থাকবে বলে পার্থবাবুর অভিমত।
সম্প্রতি বিজেপির পঞ্চায়েত সম্মেলনে বার্তা দেওয়া হয়, সমস্ত আসনে প্রার্থী দেওয়াই তাঁদের প্রাথমিক শর্ত। সেই শর্তপূরণে মুকুল রায় দায়িত্ব পাওয়ার পরই পুরনো সহকর্মীদের ভাঙিয়ে আনার পুরনো খেলা শুরু করে দিয়েছে। দল ছেড়ে আসা অন্য দলের নেতারা অগ্রাধিকার পাবেন বলেও টোপ দেওয়া হচ্ছে।
আর এই প্রবণতা রুখতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দলের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের সমস্যার সমাধান করতে আলোচনার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা আনার কথাও জানিয়েছেন দলের মহাসচিব। তিনি জানিয়েছেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে স্বচ্ছ নেতা-কর্মীদের ফ্রন্টফুটে আনা হবে।
[আরও পড়ুন: মুকুলের 'অভাব' অনুভূত হচ্ছে তৃণমূলে! বিজেপিতে 'চাণক্য' হওয়ার পথে হঠাৎ গুরুত্বের আসনে ]