‘কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলের হাত থেকে বাঁচল দল’, মুকুলকে তীব্র কটাক্ষ পার্থর
রাজ্য সভার সাংসদ পদ ও দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে তৃমমূলকে বিঁধেছিলেন মুকুল রায়। তার প্রত্যুত্তরে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন মুকুল রায়কে।
রাজ্য সভার সাংসদ পদ ও দল ছাড়ার কথা ঘোষণার পরই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাক্যবাণে বিদ্ধ হলেন মুকুল রায়। তাঁকে কাঁচরাবাবু বলে কটাক্ষ করলেন পার্থ। তিনি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেন, 'কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলের হাত থেকে দল বাঁচল। কাঁচা ছেলে কাঁচা রাজনীতি করছিলেন। এতদিনে বাঁচা গেল। এবার ভালো ঘুম হবে।'
এদিন মুকুল রায়ের কথার প্রত্যুত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের দলে কেউই চাকর নন। সবাই আমরা সহকর্মী। আর আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন আমাদের রোল মডেল। প্রতি দলেই একজন আদর্শ থাকেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদর্শ করেই চলে তৃণমূল।'
'আর 'কাঁচরাবাবু' যখন বুঝেছিলেন, এই দলে তিনি এতদিন চাকরের মতো ছিলেন। তাহালে তাঁর এত বিলম্বিত বোধদয় হল কেন। তিনি তো আগেই দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারতেন। কেন তিনি তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন না। যত সব ফেসলেস ও বেসলেস কথাবার্তা। এসব কথাবার্তার কোনও মূল্য নেই।'
'আসলে যেদিন সিবিআই ডাকল, সেদিন থেকেই তিনি বুঝেছিলেন বিজেপি ছাড়া গতি নেই। সেই থেকেই তিনি তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলতেন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। ভিতরে ভিতরে সেটিং করেছিলেন। নিজেকে বাঁচাতেই তিনি এই পন্থা নিয়েছিলেন। দলের ভিতরে থেকেই দলের সঙ্গে গদ্দারি করে গিয়েছেন। দলকে অন্ধকারে রেখেই তিনি এসব কীর্তি করে গিয়েছেন।'
'আর এদিন তো অশ্বডিম্ব হল। কোনও কিছুই তিনি গুছিয়ে বলতে পারলেন না। প্রথমেই ভুল করে বসলেন কোন ভাষায় কথা বলবেন, তা জিজ্ঞেস করে। ভাষা চয়নেই ভুল করে ভুলে ভরা বিবৃতি দিয়ে গেলেন। ২০০৭ পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে ছিল না তৃণমূল। কারণ ২০০৬-এ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল। তিনি আসলে অনেকদিন তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি তো, ভুলে গিয়েছেন সব।'
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, 'কোথাও জায়গা পায়নি বলেই ছুটিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুকুল রায়। আগে দেখুন তিনি একেবারে রাজনীতি থেকে ছুটি নেন কি না। কোথাও জায়গা পাবেন না তিনি। সাগরে তলিয়ে যাবেন। কাঁচরাপাড়াই স্থায়ী ঠিকানা হয়ে যাবে আমার 'বড়দা'র। আমাকে 'বাচ্চা ছেলে' বলেন তো। তাই আমি বড়দা সম্বোধন করলাম।'
পার্থ বলেন, 'অজয় মুখোপাধ্যায় দল ছেড়েছিলেন। নতুন দল গড়েছিলেন। তাঁর একটা ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। কিন্তু মুকুল রায়ের তো তাও নেই। অজয় মুখোপাধ্যায় দেশের জন্য কাজ করেছিলেন। আর মুকুল রায় রেলের জন্য কাজ করতেন। আসলে তো রেলকে মাল সরবরাহ করতেন তিনি। কিন্তু সেই মানুষটিকেই কোথায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন মমতা। আর তিনিই কি না গদ্দারি করে বসলেন। এমন গদ্দারি আগে কেউ করেননি।