আমাদের দলনেত্রীর নাম মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, রাজ্যপালকে মনে করালেন পার্থ
বেহালার ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দিদিকেবলো অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপাল সম্পর্কে বললেন রাজ্যপাল সম্বন্ধে পুরো বিষয়টাই আমি ইগনোর করতে চাই। উনি এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন।
বেহালার ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দিদিকেবলো অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপাল সম্পর্কে বললেন রাজ্যপাল সম্বন্ধে পুরো বিষয়টাই আমি ইগনোর করতে চাই। উনি এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। উনি অনেক কথা বলছেন। ওনার মনে রাখা উচিত আমাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা।
আমরা যে সংস্কৃতি বিশ্বাস করি সেখানে নারীর সম্মান সবার উপরে। কিন্তু নিজে যে কথাগুলো বলছেন সেগুলো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয় ।প্রথমত এই বিষয়টা ব্যক্তিগত নয় ।আমাকে না জানিয়ে যে সংবাদমাধ্যম একটি সংবাদ তৈরি করার করেছে আমি পরবর্তীকালে ওই সংবাদমাধ্যমকে আর জায়গা দেব না।
স্টিং অপারেশন না করে সামনাসামনি কথা বললেই ভাল হয় ।আমি আবারও বলছি আধিকারিকদের সঙ্গে যখন বৈঠক হবে সংবিধানের কোথাও লেখা নেই সেই আধিকারিক অন্য কাউকে ডাকতে পারে। আপনি শিলিগুড়ি দেখুন ডায়মন্ডহারবার দেখুন আধিকারিকরা কোন সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে কাউকে ডাকতে পারে সেটা দেখা যায় না।
আমার স্ত্রী যতদিন ছিল কোন সরকারি অনুষ্ঠানে আমি কোনদিনও নিয়ে যায়নি। আমন্ত্রণ জানালে সে নিচে গিয়ে বসে থাকতো। আমন্ত্রণ জানানো শেয়ারিং করা এক নয়। আমি রাজ্যপালের স্ত্রী সে মহিলা তার সম্মান রেখে তার প্রতি আমি কোন কটাক্ষ করতে যাব কেন। ওনার পিছনে যদি অন্য কেউ থাকতো আমি কিছু বলতাম না। উনি তো সব জায়গায় যাচ্ছেন।
উনি দুর্গাপূজার ভাসান 26 জনকে নিয়ে বসে থাকলেন আমরা কি তাতে কিছু বলেছি ।এই বিষয়টা পুরোপুরি ওনার উপর উনি যদি মনে করেন ঠিক কাজ করেছেন করবেন। আর বিকৃত মস্তিষ্ক আমার না ওনার সেটা মানুষ বিচার করবে ।তবু তো আমার মস্তিষ্ক কাজ করে কিন্তু ওনার কোন মস্তিষ্ক আছে বলে তো আমার মনে হয়না। এরাম ভাবে প্রত্যেকদিন খবরের কাগজ সাংবাদিকদের ডেকে এক এক করে কথা বলে যাচ্ছেন এটা কি এর আগে কোন রাজ্যপাল করেছে, আমি এর আগে কোন রাজ্যপালকে দেখিনি।
প্রত্যেকদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে একটা করে বক্তব্য রাখছেন ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে যে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেই নিয়ে কি কোন কিছু বলেছেন, মুখ থেকে কোনো প্রতিবাদ করেননি। তাতে তো কোনদিনও টুইট করেন নি। উনি সাংবাদিকদের কোনো কথা বলেননি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ব্যাপার নিয়ে বিতর্কে বেঁচে থাকতে চান উনি।
এরপর থেকে আমি ওনাকে জানিয়ে বলছি ওনার যা ইচ্ছা তাই বলুন যা ইচ্ছা করুন। উনার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা আমার আছে। কিন্তু যদি ওনার চেয়ার কলুষিত হয় আমি বারবার প্রতিবাদ করব। আমি তৃণমূলের মহাসচিব আমি শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নয় আমি তৃণমূলের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সময় ইনার টুইট করাকে মানি না। টুইট করা বন্ধ রাখুন, বাংলার বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ রাখুন, সূর্য উঠলে একবার টুইট, ডুবলে 5 বার টুইট। রাজ্যকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা নিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করুন।