বিজেপি ‘শূন্য’ কলসি! শাহকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব, অঙ্ক আর ভুগোল বই পাঠাবেন পার্থ
বাংলায় এসে মমতা সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজেপি তথা অমিত শাহকে এক হাত নিলেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বাংলায় এসে মমতা সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজেপি তথা অমিত শাহকে এক হাত নিলেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিকে শূন্য কলসির সঙ্গে তুলনা করলেন। বললেন, বিজেপির ৬টা লোক জোগাড়ের সামর্থ নেই, তাঁরা করবে রাজ্য জয়!
জেগে ঘুমালে জাগানো যায় না
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন অমিত শাহকে নিশানা করে বলেন, জেগে ঘুমালে জাগানো যায় না। অমিত শাহদের অবস্থা হয়েছে তাই। তিনি অমিত শাহকে উন্মাদ বলেও কটাক্ষ করেন। বলেন, রাজ্যে এসে উন্মাদের মতো কথা বলছেন বিজেপি সভাপতি। তা না হলে কেউ এমন কথা বলে। বাংলায় নাকি ২৩ আসনে জিতবে বিজেপি।
বিজেপির দুটি আসনও থাকবে না
পার্থ চট্টোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, বিজেপির দুটি আসন রয়েছে, তাও থাকবে না ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। তৃণমূল কংগ্রেস ৪২-এ ৪২ পাবে। এবারের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে এলেই দেখা যাবে বিজেপি এ রাজ্যে বিগ জিরো।
অঙ্ক আর ভুগোল বই দিতে হবে
অমিত শাহকে এই মর্মে তিনি বলেন, বিজেপি সভাপতিকে দেখছি একটা অঙ্কের বই আর একটা ভুগোল বই দিতে হবে। তিনি এখন বড্ড কাঁচা এই দুই ব্যাপারে। প্রথম কথা ভারতের মানচিত্র তিনি এখন বুঝে উঠতে পারেনি, আর দ্বিতীয়ত তিনি অঙ্কে কাঁচা। তাই ২৩টি আসন জয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
[আরও পড়ুন: মমতার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কংগ্রেস, আইন আমান্য ঘিরে ধুন্ধুমার রাজ্যে]
মোদী শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন
এদিন একইসঙ্গে মোদীকেও নিশানা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল মহাসচিব বলেন, মোদী শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তা পূরণ করুন। তারপর রাজ্যের কর্মীদের ডিএ ও সপ্তম বেতন কমিশনের স্বপ্ন দেখাবেন। কেন্দ্রের সরকার সংবি্ধান ধ্বংস করে দিচ্ছে, স্বশাসিত সংস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খোঁচা পার্থর
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, কখন কী বলছে, বিজেপির ঠিক নেই। বিজেপি সরকার কখনও বলছে দেশ থেকে বেরে করে দেব। আবার কখনও বলছে পাশে থাকব। নিজেরাই স্থির করতে পারছেন না কী করবেন, কোন অবস্থান নেবেন। তাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিজেপি নেতারা।