মমতার উপর হামলার পূর্বাভাস ছিলই, বিস্ফোরক অভিযোগ পার্থের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার পূর্বাভাস ছিল। বিজেপি সাংসদের পোস্টে উল্লেখ ছিল। এরপরেই এই হামলা। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।
ভোটের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম! গোটা বাংলার নজর এই কেন্দ্রের উপর। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানেই আক্রান্ত হতে হল খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর অভিযোগ, চার-পাঁচজন যুবক তাঁর গাড়ির দরজা দিয়ে তাঁকে চেপে ধরে। ফুলে যায় পা। অহস্য যন্ত্রণা শুরু গোটা শরীর জুড়ে। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তৃণমূলের। মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ শাসকদলের। যদিও বিজেপির দাবি সহানুভূতি নিতেই নাকি নেত্রীর এহেন নাটক! আর এই ঘটনাকে ঘিরেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণের পূর্ভাবাস আগে থেকেই ছিল। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এমনই মারাত্মক অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, ডেরেক ও ব্রায়েনের। তৃণমূলের মহাসচিব অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রান্ত করার চক্রান্ত আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল। তাঁদের দাবি, এক বিজেপি সাংসদের পোস্টে হামলার পূর্বাভাস ছিলই। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তৃণমূলের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পুলিশকে নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে সরানো হল এবং পরে ডিজিকেও সরানো হল। দায়িত্ববান পুলিশ অফিসারদের ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ তৃণমূলের।
বিজেপি প্রতিনিধিরা যা বলছে তা হচ্ছে
বিজেপির কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন। আরও এক মারাত্মক অভিযোগ শাসকদলের। সকাল এসে বিজেপি যা বলছে তা মেনে নেওয়া হচ্ছে। পার্থের দাবি, আশা করি নিরপেক্ষভাবে চলবে কমিশন। এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেবে তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগেও সরব পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। তাঁদের অভিযোগ, জেড প্লাস সুরক্ষা পাওয়ার পরেও সেখানে কোনও পুলিশ ছিল। স্পষ্ট পুলিশের গাফিলতি। এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি কমিশনের কাছে।
বিজেপিকে আক্রমণ ডেরেকে
নির্বাচনের আগে সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আসুন। তাহলে যদি তাঁরা বোঝেন!
প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে
ঘটনার পরেই বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনা কি ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করেন। কথা বলেন লোকজনের সঙ্গে। এরপরেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জখম হওয়ার ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। নবান্নে এই রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে খবর। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে পুলিশের জমা দেওয়া রিপোর্ট মমতার ওপর হামলার উল্লেখ নেই। এমনটাই জানাচ্ছে টিভি-৯ বাংলা। তাঁদের খবর অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান উদ্ধৃত করা হয়েছে রিপোর্টে। তাতেই দুর্ঘটনার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে এটি প্রাথমিক রিপোর্ট, এই বিষয়ে আরও তদন্ত রয়েছে বলে মনে করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। আর সেই নবান্নের কাছে ঘটনার তদন্তের জন্য আরও সময় চেয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে