‘আগে গামছা সামলা, তারপর সামলাবি বাংলা’! দিলীপের কৃষ্ণলীলাকে কটাক্ষ পার্থর
রামনবমীর পর জন্মাষ্টমী নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। রামনবমীর সাফল্যের পর জন্মাষ্টমী থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে এবার নতুন স্লোগান তুললেন পার্থ।
রামনবমীর পর জন্মাষ্টমী নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। রামনবমীর সাফল্যের পর জন্মাষ্টমী থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাস্তায় নামার কথা ঘোষণা করেছেন। তারপরই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষকে। নতুন স্লোগান তুলে তিনি দিলীপ ঘোষকে বার্তা দিলেন, আগে গামছা সামলা, তারপর সামলাবি বাংলা। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, বিজেপির এই কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন অধীর চৌধুরী থেকে সুজন চক্রবর্তীরাও।
বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জন্মষ্টমীতে দুর্গাবাহিনী নামানো হবে। রামনবমীর ঢঙেই মিছিল হবে রাজ্যজুড়ে। আর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে রাজনীতি বাংলার সমাজে ছিল না, তা বিজেপি শুরু করেছে বলে সমালোচনা তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম নেতৃত্বের।
এতদিন রাম নামে রাজনীতিতে পসার বৃদ্ধি করেছে বিজেপি। এবার বাংলায় রাম নামের সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছে কৃষ্ণকেও। রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীর পর এবার জন্মাষ্টমীকেও ধর্মীয় বাঁধন ছাড়িয়ে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে। আর রাজনৈতিক হাওয়া তুলতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দুর্গাবাহিনী নিয়ে জন্মাষ্টমী পালনের বার্তা দিয়েছেন। এরপরই তোপ দেগে পার্থ কটাক্ষ করে বলেছেন গামছা সমালানোর কথা।
দিলীপের এই বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে অধীর চৌধুরী বলেছেন, বিজেপি দুর্গাবাহিনী নামালেই তৃণমূল তার বাহিনী নামাবে। ফলে ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। রামনবমীর পর জন্মাষ্টমীর মতো পবিত্র উৎসব কালিমালিপ্ত হবে। সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। অশান্তি করে রাজনীতির আঙিনায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন দিলীপ ঘোষরা।
তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব বলেন, এসব করে বাংলার মানুষের মনে বিষ ঢোকানো যাবে না। বাংলার মানুষ সংস্কৃতি সচেতন। তাঁরা জানেন, ধর্মের নামে এই রাজনীতির জবাব দিতে। আগে গদা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে, এবার বাঁশি নিয়ে নামবে। ওসব নাটকের জবাব সঠিক সময়েই পেয়ে যাবেন ওঁরা।