বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করুন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে! অভিষেক ইস্যুতে কুণাল-কল্যাণকে কড়া বার্তা পার্থের
তৃণমূলে বিদ্রোহ! অভিষেকের বক্তব্য ঘিরে প্রকাশ্যে মত বিরোধ। তাও আবার কিনা দলেরই দুই নেতার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। যদিও বিষয়টি ফোন করে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। বরং সোশ্যাল মিডিয়াতে চলে
তৃণমূলে বিদ্রোহ! অভিষেকের বক্তব্য ঘিরে প্রকাশ্যে মত বিরোধ। তাও আবার কিনা দলেরই দুই নেতার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। যদিও বিষয়টি ফোন করে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। বরং সোশ্যাল মিডিয়াতে চলেছে একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগা।
এই অবস্থায় রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে দিতে হল কড়া বার্তা। অনেকে বলছেন শাসকদলে এমন কোন্দল নাকি আগে কোনও দিন দেখা যায়নি।
আজ শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেই সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে দুই নেতাকেই দিলেন কড়া বার্তা। তৃণমূল মহাসচিব বলেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমন কোনও মন্তব্য দল বরদাস্ত করবে না বলেও তোপ তাঁর।
শুধু তাই নয়, পার্থবাবু বলেন, কারুর কোনও বক্তব্য থাকলে তিনি বা তাঁরা দলের মধ্যে বলতেই পারেন। কিন্ত একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে মন্তব্য করা হচ্ছে তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করেন তিনি। আর তাই কার্যত এভাবে নরমে-গরমে দুজনকেই সাবধান করে দেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগেই অভিষেকের একটি মন্তব্য ঘিরে কার্যত বোমা ফাটান কল্যাণ। বলেন, যে পদে রয়েছেন অভিষেক সেখানে ব্যক্তিগত মত বলে কিছু হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বিরোধী বলেও বোমা ফাটান কল্যাণ। আর এরপরেই কার্যত হুলস্থুল বেঁধে যায় তৃণমূলের অন্দরে।
কার্যত বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও উলটে আরও বিতর্ক বাড়িয়ে তোলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্যে আরও রেগে যান শ্রীরামপুরের এই সাংসদ। প্রকাশ্যে কুণালকে আক্রমণের পাশাপাশি তিনি বলেন, আমি অভিষেককে নেতা বলে মানি না। আমার একটাই নেতা তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এই বিষয় ঘিরে আরও জটিলতা তৈরি হয়। কল্যাণকে আক্রামন শানাতে নেমে পড়েন দলের অন্যান্য নেতা -কর্মীরা। এই অবস্থায় কল্যাণ এবিং কুণাল ঘোষ দুজনকেই ফোন করেন পার্থ চট্টপাধয়া। কিন্তু তাতে কিছু লাভ হয় না। বরং সোশ্যাল মিডিয়াতে একে দুজনকে আক্রমণ শানাতে থাকে।
সেই বিষয়টি তুলে ধরেই পার্থ বলেন, দলের মহাসচিব হিসাবে দায়িত্বে আছি। আর সেই দায়িত্ব মেনেই সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও বিবৃতি দিয়ে চলেছেন কেউ কেউ বলে দাবি তাঁর। আর সেখানে পার্থবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে, সমস্ত মন্তব্য, বিবৃতি এখনই বন্ধ করুন। আজই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে ছিলাম। নির্দেশ না মানলে কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।''