শোভনের 'পরিবর্ত' পেয়ে গেল তৃণমূল! পুরসভা ভোটের আগে পার্থ তুলে দিলেন দায়িত্বভার
শোভন তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর বিজেপিতে নাম লেখালেও কোনওদিনও সক্রিয় হননি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি ফের অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর বিজেপিতে নাম লেখালেও কোনওদিনও সক্রিয় হননি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি ফের অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছেন। এই অবস্থায় শোভন কোনদিকে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলছিল, কিন্তু শোভনের অপেভায় আর না থেকে বিকল্প বেছে নিল তৃণমূল।
কে হলেন শোভনের বিকল্প
শোভন তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার মূলে ছিল রত্নার সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক ঝামেলা। সেই দ্বন্দ্ব চরমে উঠতেই শোভনকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। শোভনের সমস্ত ডানা ছাঁটার পর তৃণমূলে ব্রাত্য হয়ে পড়েন তিনি। তখনই শোভনের জায়গায় নাম উঠতে শুরু করেছিল তাঁর স্ত্রী রত্নার। পুরভোটের আগে তিনিই হয়ে উঠলেন শোভনের বিকল্প।
রত্নার নাম ঘোষণা পার্থর
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ জানান, শোভনের ওয়ার্ডে এবং তাঁর বিধানসভা এলাকায় দলের দায়িত্ব সামলাবেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। কিন্তু ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে যে দায়িত্ব থাকে, সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি শোভন। তাই রত্নাকে নিয়োগ করে দলের সংগঠন এবং পরিষেবামূলক দায়িত্ব দেওয়া হয়। রত্না হলেন বেহালা পর্বের কো-অর্ডিনেটর।
রত্না দায়িত্ব পেয়ে যা বললেন
রত্না এই দায়িত্ব নিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ শুরু করেছি। মাথার উপরে আছেন পার্থদা। পার্থদার দেখানো পথে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করব। আশা করি, মানুষ আমার সঙ্গে থাকবেন। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াব।
‘বাংলার গর্ব মমতা'র প্রচারে রত্না
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ‘বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচি তৈরি হয়েছে। সেই কর্মসূচি পালনের জন্য ৭৫ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনেই পুরসভা ভোট। আমরা ৭৫ দিন সময় পাব না। ৩০-৩৫ যা সময়ই পাইনা কেন, আমরা এই কর্মসূচিকে বাস্তববায়িত করার চেষ্টা করব।