তৃণমূলের অনেকেই দোদুল্যমান! একুশের আগে পার্থর বয়ানে চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে
শুভেন্দু অধিকারী থেকে মিহির গোস্বামী-স হ অনেক নেতা-নেত্রীর দলবদল জল্পনা নিয়ে বিব্রত তৃণমূল। এরই মধ্যে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটা বয়ান নিয়ে জোর চর্চা শুরু হল। তিনি কার্যত স্বীকার করে নিলেন, তৃণমূলে অনেকের থাকা না থাকা নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থা রয়েছে।

মমতা ছাড়া কার কত দৌড় বোঝা গিয়েছে
তিনি তাঁর এই স্বীকারোক্তির সঙ্গে আরও একটি কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কে থাকল না থাকল, তাতে কিছু এসে যায় না। এই দলের মাথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কার কত দৌড় বোঝা হয়ে গিয়েছে। তাই ভোটের আগে যাঁরা দোদুল্যমান রয়েছেন তাঁরা মনস্থির করে ফেলুন, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছেড়ে দিন।

মাথার উপর রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের থাকা না থাকা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমাদের অসুবিধা তখনই হবে, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সবাই অর্থহীন। আমরা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী কারণ আমাদের মাথার উপর রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শোভনের ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন রত্না
এ প্রসঙ্গে ওঠে রত্নার চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। পার্থ সাফ জানিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন রত্না। তিনি সেখানকার সংগঠন দেখভাল করেন। শোভনের ওয়ার্ডে তাঁর স্ত্রী রত্না দারুন কাজও করছে। সবসময় মানুষের পাশে থাকছে। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন শোভনের অভাব টের পাওয়া যাচ্ছে না তৃণমূলে।

শোভন-বৈশাখীর রাজনীতির কঠোর সমালোচনা রত্নার
আর রত্না এদিন শোভন-বৈশাখীর রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, শোভনের রাজনৈতিক পদস্খলন হয়েছে। গত ২২ বছরে আমি দেখিনি এই শোভনকে। বিজেপিকে ধন্যবাদ যে তারা বুঝেছে শোভন-বৈশাখীর বিভাজন দরকার। রত্না বলেন, আমি বৈশাখীর সঙ্গে বিভাজন করে শোভনকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলাম, পারিনি। বিজেপিও এখন তাঁদের বিভাজন ঘটাতে চাইছে।

বিজেপিই শেষে তৃণমূলের রত্নার কথা ভেবেছে! শোভন-বৈশাখীর 'বিভাজন’ নিয়ে খোঁচা