ঘুরুন তবে রাজকোষ ফাঁকা করবেন না, ফের রাজ্যপাল ধনখরকে নিশানা পার্থর
রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত চরমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিধানসভা ভবনে ঢোকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত চরমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিধানসভা ভবনে ঢোকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিধানসভা ভবনের গেট বন্ধ থাকাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন ধনখড়। ঠিক বিকেলে তার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যত ইচ্ছে রাজ্যপাল ঘুরতে চান ঘুরুন কিন্তু রাজ্যের টাকা নষ্ট করবেন না।
রাজ্যপালকে আক্রমণ
চরমে উঠেছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ। জগদীপ ধনখর রাজ্যপাল পদে বসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে মতো বিরোধ শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের একাধিক কাজে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, রাজ্যপাল যত ইচ্ছে ঘুরতে চান ঘুরুন কিন্তু রাজ্যের অর্থ নষ্ট করবেন না। রাজ্যপাল েযভাবে হঠাৎ করে একাধিক জায়গায় চলে যাচ্ছে তাতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সমস্যা থাকলে সরকারকে সরাসরি প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন পার্থ। রাজ্যপালের চিড়িয়াখানায় যাওয়া উচিত বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
|
বিধানসভায় রাজ্যপাল
বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ করে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। তার পরের দিন আবার তিনি হাজির হয়ে যান বিধানসভা ভবনে। সেখানে তিন নম্বর গেট বন্ধ দেখে রীতিমত রেগে যান রাজ্যপাল গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই বিধানসভা ভবনে ঢোকেন। তারপরে বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়েই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন তিনি। বিধানসভা ভবনে গিয়ে তিনি অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। রাজ্য গণতন্ত্র বিপন্ন বলেও দাবি রাজ্যপালের। এই নিয়ে সকাল থেকেই সরগরম ছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
তুঙ্গে সংঘাত
রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্ঘাত গত কয়েক মাসে চরমে পৌঁছেছে। রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভুত হতে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের তরফ থেকে। জেলায় জেলায় গিয়ে তিনি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গিেয়ও তিনি একাধিক কাজ করেছেন যা রোষের কারণ হয়েছে রাজ্য সরকারের। এমনকী রাজ্য সরকারের প্রতিটি কাজে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফের সভাপতি পদে ফিরছেন রাহুল, প্রস্তুতি শুরু কংগ্রেস শিবিরে