মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া নয়! শুভেন্দু কোন পর্যায়ের নেতা ব্যাখ্যা পার্থর, দলত্যাগী সাংসদকে সরাসরি অবজ্ঞা
শুভেন্দু অধিকারী (suvendu Adhikari) যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন অনেক সিনিয়র মন্ত্রীও সমীহ করে চলতেন। কিন্তু তিনি এখন গিয়েছেন বিজেপিতে (bjp)। ফলে বড়, মেজ, সেজ নেতারা আক্রমণে সামিল হয়েছে। যদিও তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee) শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান ঠিক করে ফেলেছেন।
পুলিশ নপুংসক! হাসপাতালে বেড পাবে না তৃণমূল, কাকে টার্গেট বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষের

২১ বছর তৃণমূলে থাকায় লজ্জা বোধ
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ছিল রাজ্য দফতরে সংবর্ধনা। সেই সংবর্ধনা সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অমিত শাহ যেভাবে বিপ্লবের তীর্থস্থানে এসে তাঁদের গ্রহণ করেছেন, তাঁর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি এদিন ভারতের সঙ্গে বাংলার সংযুক্তি করণে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন। নিজের পুরনো দল তৃণমূল এখন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন সেখানে কোনও শৃঙ্খলা নেই। সংবর্ধনা সভায় শুভফেন্দু বলেন, ২১ বছর তৃণমূল করেছেন, সেজন্য তিনি লজ্জিত। তৃণমূলের প্রতি কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সিপিএম-এর ছেড়ে যাওয়া ছেড়া চটি পায়ে গলিয়েছে সরকারি দল। কাঁথির ভূমিপুত্রের আরও অভিযোগ, পিএম কিষাণ প্রকল্প রাজ্যে চালু না করে, বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করেছে সরকার।

শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেবেন না পার্থ
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর লজ্জিত হওয়া মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া তিনি দেবেন না। এব্যাপারে যা বলার ব্লক সভাপতি বলবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হলে আদতে মুশকিলে পড়বে শাসকদল। তাই তাঁকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্লক সভাপতির নিচু পর্যায়ে নামিয়ে আনা হল এই মন্তব্যের মাধ্যমে।

অবজ্ঞা সুনীল মণ্ডলকেও
এদিন হেস্টিংসে দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার সময় সুনীল মণ্ডলের গাড়ি আটকে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তাঁর গাড়ির ওপরে হামলা করা হয় বলেও অভিযোগ। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সুনীল মণ্ডলকে নিয়েও কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, হাতে গোনা যেসব লোকজন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও আসেন না পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ।

শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন সৌগত
যে শুভেন্দু অধিকারীকে দলে রাখতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছিলেন, সৌগত রায়, সেই শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পরেই, তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করেছিলেন সৌগত রায়। কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, যাঁরা মুখে সতীশ সামন্তের কথা বলে, সেসব সুবিধাবাদীই এখন নাথুরাম গডসে, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দলে নাম লিখেছেন। মেদিনীপুরের মাটিতে শুভেন্দু অধিকারী জায়গা পাবেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন সৌগত রায়।