সিএএ পাসের দিন পার্লামেন্টেই ছিলেন না মোদী, পাল্টা আক্রমণ পার্থর
সিএএ পাসের দিন পার্লামেন্টেই ছিলেন না মোদী, পাল্টা আক্রমণ পার্থর
বিরোধীদের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা নাগরিক আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন প্রশ্নের উত্তর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন শ্রদ্ধেয় নরেন্দ্র মোদি নিজেই রামলীলা ময়দানে বলেছেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। ২০১৪ সাল থেকে এ নিয়ে কোন চর্চা হয়নি। যেদিন এই বিল পাস হলো তিনি নিজেই পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না। এই বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি ছড়াচ্ছেন। এ রাজ্যে যে ভাষায় নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন আসুক না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকার নাগরিকত্ব আইন তো হতেই দেবে না।
নাগরিকত্ব আইন যে নামেই আসুক না কেন নাগরিককে নতুন করে উদ্বাস্তু বানানোর যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে তারা থাকবেন থাকবে। তিনি আরো বলেন যে বারবার ভুল বোঝানোর প্রচেষ্টা না বলে দিলীপ বাবুরা একটা বিতর্ক সভা ডাকুন আমি তাতে রাজি আছি। এটা সম্পূর্ণ ভাবে মানুষকে নতুন করে উদ্বাস্তু করার আইন, আমরা তার বিরোধিতা করি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বপ্রথম এর বিরোধিতা করেছেন।
কলকাতা বন্দরের প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়াকে না কে কেন্দ্র করে প্রশ্ন করলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তার দায়িত্ব পালন করেছেন, তাছাড়া তাতে কি হয়েছে আমিও তো অনেক অনুষ্ঠানে যেতে পারি না তা বলে কি আমি ওই অনুষ্ঠানের বিরোধী। এ বিষয়ে রাজ্যপাল ব্যথিত হয়েছেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমিও খুব দুঃখ পাচ্ছি কারণ রাজ্যপাল কত তাড়াতাড়ি তার মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন, এটা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছে। আমি ওনাকে বলব উনি যত কম কথা বলবেন তাতে ওনার সন্মান বাড়বে।
পোর্টের নাম পরিবর্তন করে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট হয়েছে এ প্রসঙ্গে বলেন একজন বাঙালির নামে নামাঙ্কিত হয়েছে এটা আমি একজন বাঙালি হিসেবে বলবো ভালো। তবে এখানেও রাজনীতি হয়েছে, তারা এতোদিন সরকারে আসার পর আজ তাদের মনে হল নামকরণ করার কথা। এরা শ্যামাপ্রসাদ এর ৩০০ ফুটের মূর্তি তৈরি করেছে, আজ বিবেকানন্দের জন্মদিনে এদের মনে হলো না যে এখানে বিবেকানন্দের একটি মূর্তি তৈরি করার কথা। এরা প্রতিটি কাজ করছে রাজনৈতিক এবং ক্ষমতা কথা ভেবে। মানুষের জন্য এরা কিছু করে না।