‘গদ্দার’ মুকুল তৃণমূলের বন্ধু! পার্থর নয়া বয়ানে গভীর চিন্তায় বিজেপি
‘গদ্দার’-‘বুড়ো ভাম’ মুকুল রায় হঠাৎই কী করে বন্ধু বনে গেলেন, তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজেপিরও।
তৃণমূলের সংসর্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণার পর থেকেই মুকুল রায় প্রসঙ্গে খড়্গহস্ত ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হঠাই ভোলবদল করে মুকুল রায়কে 'বন্ধু' বলে সম্বোধন করে বসলেন তিনি। 'গদ্দার'-'বুড়ো ভাম' মুকুল রায় হঠাৎই কী করে বন্ধু বনে গেলেন, তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজেপিরও।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখেমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা একটা সময় সতীর্থ ছিলাম। তাঁর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। তিনি আজও আমার বন্ধুই আছেন। এখন রাজনৈতিক মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে, তিনি সরে গিয়েছেন আমাদের পথ থেকে। তা বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না। তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।' পার্থর এই কথায় এখন নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
পুজোর আগে তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুকুল রায়কে 'গদ্দার' বলে অভিহিত করেছিলেন। তার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে 'বাচ্চা ছেলে' বলেন মুকুল রায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে 'বুড়ো ভাম' বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকী একবার রহস্য করে 'আমার বড়দা' বলেও সম্বোধন করতে শোনা যায় তাঁকে।
এতদিন পর মুকুল রায়কে নিয়ে যখন নানা জল্পনা চলছে, তখনই তিনি ভোলবদল করে মুকুল রায়কে 'বন্ধু' বলে সম্বোধন করলেন। সেইসঙ্গে তিনি জল্পনা বাড়ালেন মুকুলের ভূমিকা নিয়েও। এমনিতেই মুকুল রায়কে নিয়ে বিজেপি এখনও নানা দ্বন্দ্বে ভুগছে। তাঁকে একাংশ তৃণমূলের চর বলে আখ্যায়িত করতে চাইছে। তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই বিশ্লেষণ বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্কের কপালে ভাঁজ ফেলবেই।
এদিন মুকুল রায়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, 'আসলে উনি তো কোনওদিন নিরাপত্তা ছাড়া থাকেননি। আজকাল তাঁকে নিরাপত্তা ছাড়া থাকতে হচ্ছিল। তাই কেন্দ্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা চেয়ে নিলেন। তবে একটা পিঁপড়েও ওকে আক্রমণ করবে না। ওঁর ভয়ের কিছু নেই।' তারপরই তিনি যোগ করেন, 'মুকুল আমাদের বন্ধু ছিল, বন্ধুই থাকবেন।'
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন উড়ে এসেছিল, মুকুল রায় কি ফের তৃণমূলে ফিরছেন? পার্থর সোজাসাপ্টা উত্তর, 'মুকুল রায়কে সাসপেন্ড করা হয়েছিল দলবিরোধী কাজের জন্য। আমরা যা অভিযোগ করেছিলাম, তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখন এ প্রশ্নের কোনও ভিত্তি নেই।'