দিলীপ ঘোষের প্রত্যাবর্তনে সমর্থন নেই দলেরই একাংশের, বাংলায় মুখ বাছতে ফ্যাসাদে বিজেপি
বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের প্রত্যাবর্তন নিয়ে জোর জল্পনার মধ্যেই উঠে এল নয়া প্রশ্ন। আদৌ ২০২১-এ দলের মুখ হিসেবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষই বসবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের প্রত্যাবর্তন নিয়ে জোর জল্পনার মধ্যেই উঠে এল নয়া প্রশ্ন। আদৌ ২০২১-এ বিধানসভা ভোটে দলের মুখ হিসেবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষই বসবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কেননা দিলীপের প্রত্যাবর্তনে সমর্থন নেই দলেরই একটা বড় অংশের। তাঁরা চাইছেন নতুন মুখ আসুন সভাপতি পদে।
১৫ জন নেতার সঙ্গে কথা
অমিত শাহের দূত ভূপেন্দ্র যাদব এক এক করে ১৫ জন নেতার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের মত জানতে চান। তাঁদের অনেকেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদে পুনরায় দিলীপ ঘোষকে চাইছেন না। ফলে অমিত শাহের পাঠানো দূত পড়েছে ঘোর বিপাকে। দিলীপ যদি না হন, তবে তাঁর বিকল্প কে বঙ্গ বিজেপিতে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে কাটা-ছেঁড়া।
পক্ষে ও বিপক্ষে নানা মত
ভূপেন্দ্র যাদব প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তৎক্ষণাৎ রিপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে। পক্ষে ও বিপক্ষে নানা মত তিনি দিয়েছেন এই রিপোর্ট। এখন সিদ্ধান্ত নেবেন অমিত শাহ। তারপরই ঘোষণা হবে পরবর্তী বিজেপি সভাপতির নাম।
লড়াকু মানসিকতায় দিলীপ এগিয়ে
দিলীপের সমর্থনে যেমন বহু কথা থাকছে, থাকছে বিরোধী মতও। দিলীপ ঘোষের লড়াকু মানসিকতা, চোখে চোখ রেখে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই। তারপর কাউন্সিলর থেকে সাংসদ হয়ে ওঠার ইতিহাসও রয়েছে। তাই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে দিলীপের জুড়ি মেলা এখন ভার, সেদিকটিও মাথায় রাখা হচ্ছে।
বৈঠকে যাঁদের সঙ্গে কথা
ভূপেন্দ্র যাদব রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচন ও নয়া রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে রবিবার দুপুরে বৈঠক করেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন-সহ এ রাজ্যের দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী প্রমুখ।
সিদ্ধান্ত ১৭ জানুয়ারি!
প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি প্রত্যেকের মতামত জানতে চান। রাজ্য বিজেপি সভাপতি নির্বাচনে কে কাকে চাইছেন, তা জানতেই আলাদা করে কথা বলেন তিনি। তবে তিনি কোনও মতামত দেননি। একেবারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তা হবে ১৭ জানুয়ারি।