For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন! হাতির আতঙ্ক এখন থেকেই ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে

মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে ১২ মে। এখনও এই এলাকাগুলিতে নির্বাচনী প্রচার সেই ভাবে শুরু হয়নি।

  • By Koushik Dutta
  • |
Google Oneindia Bengali News

মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে ১২ মে। এখনও এই এলাকাগুলিতে নির্বাচনী প্রচার সেই ভাবে শুরু হয়নি। তবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এখন থেকেই নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে এই নির্বাচনের আয়োজন করতে গিয়ে তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাতি।

লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন! হাতির আতঙ্ক এখন থেকেই ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে


প্রতিবছর ঝাড়খণ্ডের দলমা থেকে হাতির দল এসে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাতে ঘুরে বেড়ায়। হাতির হামলায় গত দুবছরে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই এলাকায়। আর তাদের আক্রমনণ ও হামলায় অনেকেই আহত হয়েছেন, প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙ্গেছে এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই তিন জেলার এলাকাতে রয়েছে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকা। প্রশাসনের হিসাবে এই চারটি লোক সভায় রয়েছে ৭৬৭৬ টি বুথ। তাদের প্রাথমিক হিসাব, এই বুথ গুলির অন্তত ৩০ শতাংশ বুথ রয়েছে জঙ্গল এলাকায়, যেখানে এই হাতির দল ঘুরে বেড়ায়। "হাতি ঘুরে বেড়ায় এমন এলাকার মধ্যে বুথের সংখ্যা দু হাজারের কম নয় বলেই আমাদের প্রাথমিক হিসাব", জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক।

গত বছর প্রায় ১৫০ টি হাতি এই তিন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছে। দলমা থেকে আসার হাতির দল আগে বছরের ২ থেকে ৩ মাস এই এলাকায় থাকত। এখন তারা যেমন তাদের ঘোরার এলাকা বাড়িয়েছে তেমনই প্রায় সারা বছরই এই এলাকাতে থাকছে। হাতির দলকে এখন দলমাতে ফেরত পাঠান হলেও তারা যে কোনও সময় আবার ফিরে আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে বন বিভাগ ও প্রশাসন। তারা যদি ভোটের আগেই ফিরে আসে তাহলে তাদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেবে এই হাতির দল।
হাতি নিয়ে সমস্যা এমনিতেই এই এলাকাতে একটা মাথা ব্যাথার কারণ প্রশাসনের কাছে। তার ওপর নির্বাচনের সময় যদি হাতি এলাকায় থাকে তাহলে তাদের দুশ্চিন্তা যে আরও বাড়বে তা মেনে নিচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক বলেন, "নির্বাচনের সময় আইন শৃঙ্খলা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু হাতি এলে তো কেউ কিছু করতে পারব না। হাতির পালের সামনে তো কেন্দ্রীয় বাহিনীও অসহায় হয়ে পড়বে। জেলার প্রশাসনের কর্তারা ইতিমধ্যেই এই কথা মাথায় রেখে বন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছেন। বন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে সারা বছরই তারা হাতির গতিবিধির ওপর নজর দারি চালান এবং এই সময়ে সেই নজরদারি বাড়ান হবে। "আমরা ইতিমধ্যেই বন বিভাগের আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের বলেছি নির্বাচনের সময় যদি এলাকায় হাতি থাকে তাহলে সেগুলি নির্বাচনী বুথ ও বুথে যাওয়ার রাস্তা থেকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে" , বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী। "জঙ্গল এলাকার মধ্যে কতগুলি বুথ আছে এবং কী কী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই বন বিভাগ ও জেলার আধিকারিকদের বলেছেন। যে সব এলাকায় হাতি ঘুরে বেড়াবে সেই সব এলাকাতে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে", জানিয়েছেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস উমাশঙ্কর।
"যে সব এলাকায় হাতি থাকবে সেই সমস্ত এলাকায় আমরা বাড়তি নজরদারি চালানো হবে। সেই এলাকায়, রাস্তায় প্রশাসনের বিশেষ টিম থাকবে যাতে হাতি এলে তাদের দ্রুত সেখান থেকে লোকালয় থেকে বনের দিকে সরিয়ে দেওয়া যায়", জানিয়েছেন মেদিনীপুরের বিভাগীয় বনাধিকারিক রবীন্দ্রনাথ সাহা।

রূপনারায়ণ বন বিভাগের আধিকারিক অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, "এই মুহুর্তে হাতি এলাকাতে না থাকলেও যে কোনও সময় ফিরে আসতে পারে। তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সময় এই সতর্কতা ও নজরদারি আরও বাড়ান হবে"। মেদিনীপুরের লালগড়, গোয়ালতোড়, গড়বেতা, ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, বাঁকুড়ার সোনামুখী, বিষ্ণুপুর, বড়জোড়া সহ যে সব এলাকায় হাতির দল সাধারণত ঘুরে বেড়ায় সেই সব এলাকার জঙ্গল এলাকার গ্রামগুলিতে নির্বাচনীর প্রচার কী করে করা হবে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক দলগুলি।

English summary
Panic of elephants has raised the thinking of the district administrations in Western parts of the state
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X