২৪ ঘণ্টাতেই মোহভঙ্গ, বিজেপিকে ‘প্রত্যাঘাত’ করে ঘরে ফিরলেন তৃণমূলের সভাপতি
২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপিকে প্রত্যাঘাত করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির মনোবল ভেঙে ফের তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হল পুরুলিয়ার বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনিকা মাহাতোকে।
২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপিকে প্রত্যাঘাত করল তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েতের আগে উচ্ছ্বসিত বিজেপির মনোবল ভেঙে ফের তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হল পুরুলিয়ার বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনিকা মাহাতোকে। আর সেইসঙ্গে বিজেপিতে গিয়ে আবার তৃণমূলের ফিরে আসার ধারাও বজায় রইল।
২৪ ঘণ্টা আগেই বিজেপি অফিসে গিয়ে দলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন মনিকাদেবী। দীর্ঘদিনের জমাট বেঁধে থাকা ক্ষোভ উগরে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। পঞ্চায়েতের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে চরম ধাক্কাও দিয়েছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপিকে একই অস্ত্রে প্রত্যাঘাত করল তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার পুরুলিয়ার বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনিকা মাহাতোকে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয়। মনিকাদেবীও ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ঘরে ফিরে স্বস্তি পেলেন। তিনি বলেন, দলের প্রতি অভিমান হওয়াতেই তিনি বিজেপিতে পা বাড়ান। কিন্তু তৃণমূল মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ায় ঘরে ফিরলাম।
উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিজেই বিজেপি অফিসে হাজির হয়ে বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, তাঁকে পদে বসিয়ে রেখে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাজ চালাতেন সহ সভাপতি। তাঁর কোনও স্বাধীনতা ছিল না। তাই তিনি দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। তেব একদিনেই সেই ক্ষোভ মিটে গেল নেত্রীর। তিনি ফিরে গেলেন পুরনো দলে।
এদিকে শক্তি বাড়াতে গিয়ে বারে বারে বিজেপির কৌশল মুখ থুবড়ে পড়ছে। তাই দলবদলের ব্যাপারে এবার একটু বিবেচনা করে চলতে চাইছে নেতৃত্ব। বীরভূম থেকে শুরু করে দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ সর্বত্রই এই প্রবণতায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা ধাক্কা খাচ্ছে। তাই এবার সবদিক বিবেচনা করে তৃণমূল থেকে আসা নেতা-নেত্রীদের যোগদান করানোর ভাবনা বিজেপিতে।