ভোটের মুখে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন, পঞ্চায়েত প্রধান-সমিতি সদস্য সদলবলে বিজেপিতে
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন ধরাল বিজেপি। জলপাইগুড়িতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন ধরাল বিজেপি। জলপাইগুড়িতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। দুয়ারে যখন কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট, মনোনয়ন পর্বও একপ্রকার শেষ, তখন হঠাৎ করেই জেলা তৃণমূলে এই ভাঙন কপালে ভাঁজ ফেলেছে জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্বের।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ আইনি-ফাঁসে বন্দি, এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ ট্রেড ইউনিয়ন]
এদিন বিজেপির কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ধূপগুড়ির ঝার-আলতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান জগন্নাথ রাভা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মালতী রাভা, তৃণমূল নেতা দীনেশ রায় প্রমুখ। এদিন তাঁদের সঙ্গে পাঁচ শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি বিজেপির। বিজেপির অঞ্চল সভাপতি রাজকুমার বর্মন ও ধূপগুড়ি পুরসভায় কাউন্সিলর কৃষ্ণদেব রায় তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ভাঙনে চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টে এই দলবদল বিজেপিকে অনেকখানি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দিয়ে নেতা-নেত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের কাঠের পুতুল করে রাখা হয়েছিল, কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি, দলে কোনও স্বাধীনতা ছিল না তাঁদের। সেই কারণেই ক্ষোভ তৃণমূলের প্রতি। দল ছাড়ার অন্যতম কারণ এটা।
তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপি নেতাদের দাবি, এবার ধূপগুড়ির অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরাই জিতব। পঞ্চায়েত সমিতিও আমরা দখল করব। তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে শেষেরও। তৃণমূলের এবার হারের পালা শুরু। এবার জিতবে বিজেপি-ই।