রঘুনাথগঞ্জ থেকে নলহাটি, জেলায় জেলায় মনোনয়ন নিয়ে অশান্তি, হামলার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে
মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূমের নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। পিছিয়ে নেই দুই পরগনাও।
কেউ বলছেন ক্যাডার দিয়ে আক্রমণ চলছে, কেউ বলছেন পুলিস প্রশাসনকে ব্যবহার করে অশান্তি চলছে। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী শিবিরের সঙ্গে কখনও খণ্ডযুদ্ধ বাঁধছে শাসক দলের তো কখনও পুলিশের। এভাবেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে বীরভূমের নলহাটি জায়গায় জায়গায় অশান্তির আঁচ দাবালনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।
মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূমের নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। পিছিয়ে নেই দুই পরগনাও। ভাঙড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে গোলমাল। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে মিছিল করে মহকুমা শাসকের দফতরে যাওয়ার সময় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ বিজেপির মিছিল মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে আসতেই বোমাবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশ তা দেখেও নীরবতা অবলম্বন করেছে। পাল্টা বিজেপির উপরে পুলিশ আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।
বিজেপির উপরে হামলা চালানোর পরে ঘটনাস্থল থেকে অদূরে সিপিএমের অফিসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় ভাঙচুর করে। সিপিএমের কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হয়েছেন বলে খবর। কংগ্রেসের উপরেও শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে খবর।
বাঁকুড়ায় বিজেপি নেতা তথা দলের রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। বিজেপির প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের দফতরে গেলেই হামলা চালানো হয়। পুলিশ আক্রান্তদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে শাসক দলের কাউকে ধরতে পারেনি।
এদিকে বীরভূমের নলহাটি বারেবারে উত্তপ্ত হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশও পাল্টা অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার সকালে নলহাটিতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিজেপির অস্থায়ী কার্যালয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছে, সেখানে বহিরাগতরা ছিল। তাদের হঠাতে যাওয়ায় পুলিশের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন দুইজন আধা সেনা। তারপরই নাকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে ও কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুঁড়েছে পুলিশ।