বিজেপিতে বিরাট ধস অনুব্রত-গড়ে, তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক একুশের বিধানসভার পর
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে হারানোর পর তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে সবথেকে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে হারানোর পর তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে সবথেকে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভোটের আগে ঘাসফুল ছেড়ে যারা পদ্মফুল হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তাঁরা ফের ফুলবদল করছেন। শুক্রবার বীরভূমের নানুর ও লাভপুরে প্রায় দু-হাজার কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে।
অনুব্রতর উপস্থিতিতে বড় যোগদান
বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে বীরভূম জেলার সভপাতি অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে প্রায় ১ হাজার কর্মী বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা-কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। যোগদানকারীদের অধিকাংশই আগে তৃণমূল করতেন। তাঁদের ঘরওয়াপসি হল এদিন।
নানুরের পর লাভুপুরেও তৃণমূলে যোগ
শুধু নানুরে বিজেপি নেতা-কর্মীরাই নন, বীরভূমের লাভপুরেও প্রায় হাজার জন নেতা-কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেন এদিন। তৃণমূলের বিধায়ক অভিজিৎ সিংয়ের উপস্থিতিতে তাঁরা যোগদান করেন। লাভপুরেরর কুরানাহার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির বুথ সভাপতি ও মণ্ডল সভাপতি-সহ বহু কর্মী এদিন ফুলবদল করে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান।
আমরা সবাই তৃণমূল করতাম, বয়ান
দলত্যাগীদের মধ্যে ছিলেন সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি ত্যাগী নেতা অনুপ ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, আমরা তো আগে সবাই তৃণমূল করতাম। ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়েছিলাম। এদিন ভুল বুঝতে পেরে আমরা আবার ফিরে এলাম আমাদের পুরনো দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সামিল হতেই তাঁরা ফিরে এসেছেন দলে।
প্রায় সব বিরোধী তৃণমূলে, দাবি
দিন সাতেক আগে বীরভূমের বোলপুর ব্লকের বাহিরি, পাঁচশোয়া, সিয়ানের বিজেপি-সিপিএম শিবির ভেঙে কয়েক হাজার কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। তারপর অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ওইসব গ্রামের প্রায় সব বিরোধী তৃণমূলে চলে এলেন। এবার সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন। বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় ওঁরা দল ছেড়ে গিয়েছিলেন। ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা ফিরে এলেন।