ভোটের মুখে জঙ্গলমহলে শক্তিবৃদ্ধি বিজেপির, তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএম ছাড়লেন ২ শতাধিক
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছে জঙ্গলমহলে। শুধু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নয়, কংগ্রেস ও সিপিএম ভেঙেও দলীয় শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছে জঙ্গলমহলে। শুধু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নয়, কংগ্রেস ও সিপিএম ভেঙেও দলীয় শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে পঞ্চায়েতের আগে সমস্ত দলেই ভাঙন ধরিয়ে বিজেপি জঙ্গলমহলে গেরুয়া পতাকা উড়াবার বার্তা দিয়ে দিল নির্বাচনী দামামা বেজে যেতেই।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিরোধীদের ঘর ভেঙে শক্তিশালী মমতার শিবির]
রবিবার বাঁকুড়ায় বিজেপির কর্মী সম্মেলন মঞ্চ থেকেই জঙ্গলমহলে দলবদলের হিড়িক শুরু হয়। তারপর এক একে পশ্চিম মেদিনীপুরে এসসি মোর্চার সম্মেলনে ও পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকেও বিজেপিতে যোগদান করেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের কর্মীরা। স্বভাবতই পঞ্চায়েতের আগে বিজেপির এই শক্তিবৃদ্ধি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বাঁকুড়ার হীড়বাঁধে বিজেপির মহিলা মোর্চার সম্মেলনে শতাধিক মহিলা সদস্য তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে যোগদান করেন বিজেপিতে। মোর্চা নেত্রী মণিকা দত্ত তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপির এসসি মোর্চার কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের নেতৃত্ব দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের বহু কর্মী তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই সম্মেলনেও অনেকে উপস্থিত হয়েছেন, যাঁরা পুরনো দল ছেড়ে বিজেপির ছত্রছায়ায় আসতে চান। তার কারণ তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের অধিকার লুণ্ঠিত। তাঁদের এই অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে বিজেপিই।
আর পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকে কংগ্রেস ছেড়ে একদল কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে। আহড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের সহদেব বাইরি শতাধিক কর্মীকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি করা হয়েছে গেরয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই গ্রাপ পঞ্চায়েতে শক্তিবৃদ্ধিতে বিজেপি শিবির উৎফুল্ল। বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং সহদেববাবুর হাতে পতাকা তুলে দেন।