বিজেপি-সিপিএম শিবিরে বিরাট ভাঙন, পুরভোটের আগে দলে দলে যোগদান তৃণমূলে
বিজেপি-সিপিএম শিবিরে বড় ভাঙন, পুরসভা ভোটের আগে দলে দলে যোগদান তৃণমূলে
করোনা আতঙ্কের মধ্যেও রাজনৈতিক উত্তাপ ধিক ধিক করে জ্বলেই চলেছে। পুরসভা ভোট কিঞ্চিত পিছিয়ে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু রাজনৈতিক পারদ এতটুকু কমেনি। শিলিগুড়ি পুরসভাকে পাখির চোখ করে এবার এগোচ্ছে তৃণমূল। এবার তারা জিততে চায়। তাই পুরসভা ভোটের আগে বাম ও বিজেপিকে ভেঙে নিজেদের দলের শক্তি বাড়াল তৃণমূল।
সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে
তৃণমূলের আট বছরেও শিলিগুড়ি বামদূর্গ রয়ে গিয়েছে। এই পুরসভায় বামেরা প্র্যাপ্ত প্রাধান্য নিয়ে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু এবার বামেদের আধিপত্য খর্ব করে জয় পেতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। শিলিগুড়ির হিমালি শহিদনগরে সিপিএম ও বিজেপির প্রচুর নেতা-কর্মীকে তৃণমূলে যোগদান করানো হল।
তৃণমূল জেলা কার্যালয়ে যোগদান
শুক্রবার তৃণমূল জেলা কার্যালয়ে এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, শিলিগুড়ি টাউন সভাপতি সঞ্জয় পাঠক ও দুলাল দত্ত প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতিতে বাম-বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও কর্মীরা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
কেন তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন
পুরসভা ভোটের মুখে তৃণমূলে এই শক্তিবৃদ্ধিতে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলে যেতে পারে। কিন্তু কেন তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি ও বামফ্রন্ট ছেড়ে? কেনই বা তাঁরা তৃণমূলের প্রতি ভরসা রাখলেন? তা খোলসা করে দিলেন দলত্যাগী নেতা-কর্মীরাই।
কেন দলত্যাগ, ব্যাখ্যা যুব নেতার
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই ছেড়ে তৃণমূলে সদ্য যোগ দেওয়া প্রকাশ চন্দ্র বলেন, হিমালি শহিদনগর লালদুর্গ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু এলাকার উন্নয়ন হয়নি লালপার্টির আমলে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় আসা নিয়েও তাঁদের মতবিরোধ রয়েছে। সেই কারণেই আমরা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই।
সিপিএমের ঘোট রাজনীতির বিরুদ্ধে
তিনি আরও জানান, উন্নয়নের স্বার্থে, আর সিপিএমের ঘোট রাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা তৃণমূলের হাত শক্তকরতে চেয়েছি। আমরা শতাধিক নেতা-কর্মী মিলিত হয়ে সিপিএম ছেড়েছি এবং যোগদান করেছি তৃণমূলে। আমরা তৃণমূলের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হয়ে এই এলাকাকেও উন্নয়নমুখী করতে চাই।
বিজেপি নেতারা যে কারণ দেখালেন
দলত্যাগী বিজেপি নেতা-কর্মীরা মনে করেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করার উপায় ছাড়া আর কিছুই নয় ওই সিএএ। তাই আমাদের প্রতিবাদ। দল ছেড়েই আমরা এই প্রতিবাদ করলাম। যারা মানুষের সঙ্গে চলছে এবং থাকছে, আমরাও তাঁদের সঙ্গে থাকতে চাই।
শিলিগুড়িতে আরও শক্তিশালী হল তৃণমূল
গৌতম দেব এই যোগদান পর্বে স্বাগত জানান যোগদানকারীদের। তিনি বলেন, এঁদের যোগদানে পুরসভা ভোটের আগে শিলিগুড়িতে আরও শক্তিশালী হল তৃণমূল।এদিন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরকেও দলে ফেরান তিনি। জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের দাবি সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে ২৫০ জন তৃণমূলে যোগদান করেন।