পাহাড়ে বিজেপি ছেড়েছেন ১০০ নেতা! নয়া নাগরিকত্ব আইনের জেরে দলত্যাগী যাঁরা
নাগরিকত্ব সংশোধন বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই পাহাড় বিজেপিতে ভাঙনের সুর লেগে গিয়েছিল। একে একে দল ছাড়ছিলেন পাহাড় বিজেপির পদাধিকারীরা।
নাগরিকত্ব সংশোধন বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই পাহাড় বিজেপিতে ভাঙনের সুর লেগে গিয়েছিল। একে একে দল ছাড়ছিলেন পাহাড় বিজেপির পদাধিকারীরা। সেই সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে এখন ১০০ ছাড়িয়েছে। পাহাড় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শান্তাকিশোর গুরুংয়ের পদত্যাগের পর সংখ্যাটা আপাতত দাঁড়িয়েছে ১০৬-এ।
বিজেপিতে ভাঙন চলছেই
এনআরসি ও সিএএ-র জেরে দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ে বিজেপিতে ভাঙন চলছেই। গোটা উত্তরবঙ্গেই বিজেপিতে ভাঙন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদ সদস্য দল ছেড়ে প্রতিবাদী হয়েছিলেন। তারপর প্রতিবাদী হলেন শান্তাকিশোর গুরুং। আর নিয়মিত দল ছাড়ার হিড়িক তো আছেই।
দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে বিজেপি ছাড়লেন যাঁরা
শান্তাকিশোরের আগে আরও একজন জেলা সাধারণ সম্পাদক অনিল শর্মা দল ছাড়েন। দলত্যাগী ১০৫ জন পদাধিকারীর মধ্যে দার্জিলিং জেলা কমিটির অন্তত ৩০ জন ছিলেন। কালিম্পং জেলার ৩৬ জন ছিলেন। তার মধ্যে যুব মোর্চার কালিম্পং জেলা সভাপতি উত্তম রাই ও জেলা সহ সভাপতি সুজন বিকেও ছিলেন। ছিলেন যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক সাগর দেওয়ালিও।
কার্শিয়াংয়েও ভাঙন, উল্লেখযোগ্য দলত্যাগীরা
আবার এই দলত্যাগীদের তালিকায় ছিলেন কার্শিয়াং জেলার ৩৯ জন পদাধিকারীও। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম গল কার্শিয়াং মহকুমা সাংগঠনিক সভাপতি প্রিয়াংকা ছেত্রী। মোট কথা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই পাহাড় বিজেপিতে রক্তক্ষরণ চলছে।
১ লক্ষ গোর্খার নাম বাদ, তারপর...
উল্লেখ্য, অসমে এনআরসির ফলে ১ লক্ষ গোর্খার নাম বাদ পড়ে। তারপর বিজেপি পাহাড়ে আশ্বাস দিয়েছিল পাহাড়বাসীর স্বার্থরক্ষার। পাহাড় থেকে বিজেপির সাংসদ নির্বাটিত হওয়ার পর স্বার্থরক্ষা তো দূর-অস্ত, তাঁদের নাগিরকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উটে পড়ায় বিজেপিতে এই ভাঙন প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
বিনয় তামাংপন্থীরা সক্রিয়
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পাহাড় বিজেপিতে এই ভাঙনের জেরে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ও মোর্চার বিনয় তামাংপন্থী নেতাদের হাত শক্ত করবে। এদিন সিএএ-র প্রতিবাদে বিনয়পন্থীরা বিশাল মিছিল করেন পাহাড়ে। শান্তা কিশোরের দলত্যাগ নিয়ে এমনিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শান্তাকিশোর বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেও তাঁকে নিষ্ক্রিয় নেতা বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
দলত্যাগে বিজেপির সাফাই
পাহাড় বিজেপির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, এই দলত্যাগে কোনও প্রভাব পড়বে না বিজেপিতে। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই সমস্ত নেতারা দল ছাড়তে পারেন। আর শান্তাকিশোর দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন না, তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে তাঁর পদ থেকে। পাহাড় বিজেপি অবিচ্ছিন্ন আছে বলেই দাবি মনোজের।