সাত দিনেই কাটল 'মায়া', বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন বিদায়ী কাউন্সিলর
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেও তৃণমূল (trinamool congress) থেকে অনেকেই বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছেন। তবে এরইমধ্যে গেরুয়া শিবির ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকেই। যেমনটি হল রবিবার। বিজেপির মায়া কাটিয়ে তৃণমূলে ফিরে এলেন
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেও তৃণমূল (trinamool congress) থেকে অনেকেই বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছেন। তবে এরইমধ্যে গেরুয়া শিবির ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকেই। যেমনটি হল রবিবার। বিজেপির মায়া কাটিয়ে তৃণমূলে ফিরে এলেন বিধাননগরের (bidhannagar) বিদায়ী কাউন্সিলর।
১৪ মার্চ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে
১৪ মার্চ। তৃণমূলের বিশেষ দিনে দল ছেড়েছিলেন বিধাননগরের বিদায়ী কাউন্সিলর সাথী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধাননগরের বিজেপি পার্থী সব্যসাচী দত্তের হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূলে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও তিনি করেছিলেন।
একসপ্তাহ বিজেপিতে কাটিয়ে ফিরলেন তৃণমূলে
কিন্তু একসপ্তাহের মধ্যে বিজেপির মায়া কাটিয়ে ফেললেন তিনি। বিধাননগরের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর হাত ধরে তিনি ফিরে এলেন তৃণমূলে। বিধাননগরে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। এই যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল দত্ত।
তৃণমূল নেত্রীর সাফাই
দলে ফিরে আসা প্রসঙ্গে সাথী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূলের কিছু লোকের ওপরে রাগ হয়েছিল। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছিল তাঁর। তবে সাতদিনেই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন তিনি। দলে ফিরেই সাথী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যেভাবে তিনি বড় হয়েছেন, তার সঙ্গে তুলনা করলে, সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি নিজেও কাজ করেছেন।
মান ভাঙিয়েছেন সুজিত বসু
দলের বিদায়ী কাউন্সিলরের ফিরে আসা প্রসঙ্গে সুজিত বসু জানিয়েছেন, গত ১০ বছর ধরে সাথী বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সঙ্গে রয়েছেন। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ফোন করায় তিনি ফিরে আসতে বলেন। সঙ্গে আশ্বাস দেন, আগের মতোই দলে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
প্রচারে ব্যস্ত দুই প্রার্থীই
দলবদলের পরিস্থিতির মধ্যেই প্রচারে ব্যস্ত বিধাননগরের দুই প্রার্থী সুজিত বসু এবং সব্যসাচী দত্ত। দুজনেরই নিজেস্ব কায়দা রয়েছে প্রচারের। বাঙুরের কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে সুজিত বসু বলেছেন, আগেও মানুষ তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন। এবারেও তা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, সব্যসাচী দত্ত দাবি করেছেন, জয় তাঁরই হবে।
লক্ষ্য ২০২১-এর নির্বাচনে জয়, কেন জঙ্গলমহলের কুর্মিরা নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের জিয়ন কাঠি