পুর প্রশাসক বোর্ড তৈরি করতে গিয়ে এক্কেবারে ঘাসফুলের পার্টি অফিস! নবান্নের সিদ্ধান্ত ঘিরে শোরগোল
পুর প্রশাসক বোর্ড তৈরি করতে গিয়ে এক্কেবারে ঘাসফুলের পার্টি অফিস! নবান্নের সিদ্ধান্ত ঘিরে শোরগোল
বিরোধী বিজেপি হাইকোর্টে কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ড গঠনের বিরুদ্ধে আবেদন করলেও, বোর্ড গঠন হয়েছিল মসৃণভাবেই। তবে শিলিগুড়ির বোর্ড গঠনে রাজ্যকে খানিকটা হলেও ধাক্কা খেতে হয়েছিল। এবার দক্ষিণ দিনাজপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ড গঠন নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুরোপুরি রাজনীতিকরণের অভিযোগ উঠল।
নতুন প্রশাসনিক বোর্ড গঠন করা হয়েছে গঙ্গারামপুরে
২০ মে দক্ষিণ দিনাজপুরের নির্বাচিত পুরবোর্ডের কাজের শেষ দিন। তাই তার আগেই পুরসভার জন্য প্রশাসনিক বোর্ড তৈরি করে দেয় নবান্ন। বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমলেন্দুভূষণ সরকারকে। এছাড়াও তৃণমূলেরই চারজনকে বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।
বিধায়ক ও সাংসদকে বোর্ডের সদস্য করায় প্রশ্ন
গঙ্গারামপুর পুরসভায় যে চারজনকে পুরবোর্ডের সদস্য করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ২ কাউন্সিলর রাকেশ পণ্ডিত ও অশোক বর্ধন। এছাড়াও রাখা হয়েছে গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দাস ও দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। এর আগে বালুরঘাট পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেখানকার প্রশাসক করে দেওয়া হয় অর্পিতা ঘোষকে। স্থানীয় বিধায়ক এবং তৃণমূল সাংসদকে বোর্ডের সদস্য করার যে রেওয়াজ শুরু হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
আধিপত্য বিস্তারের জন্য বোর্ডে, অভিযোগ বিজেপির
তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদ গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর না হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁদের বোর্ডে রাখা হল প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, শাসকদলের আধিপত্য কায়েমের জন্যই তা করা হয়েছে। জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেন প্রশাসনিক বোর্ডে রাখা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
শিলিগুড়িতে জোড়া হয়েছিল ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম
কলকাতা ফিরহাদ হামিক পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান হওয়া ছাড়া তাঁর সঙ্গে যাঁদের সদস্য করা হয়েছিল তাঁরা সবাই ছিলেন তৃণমূলের। প্রথাভাবে শিলিগুড়িতে। সেখানে অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসনিক প্রধান করার পরেও পাঁচ বাম ও পাঁচ তৃণমূল সদস্যকে বোর্ডের সদস্য করা হয়। অশোক ভট্টাচার্য এর প্রতিবাদ করে দায়িত্ব প্রত্যাখ্যান করলে পাঁচ তৃণমূল সদস্যকে বোর্ড থেকে প্রত্যাকার করে নেওয়া হয়।
আম্ফানের তাণ্ডবে রেলের টিকিট বুকিং-এ দেরি! শুরুতেই বড় আয় রেলের