Suvendu Adhikari: সুকান্ত-দিলীপের বিরূপ অবস্থানে 'ব্যক্তিগত' শুভেন্দু! স্থির করে দিলেন লোকসভার লক্ষ্যমাত্রা
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাকযুদ্ধের কথা অস্বীকার করার দিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন তিনি দলের শৃঙ্খলা পরায়ণ সৈনিক। তারপরের দিনই বিরোধী দলনেতা তারিখ রাজনীতির দায় নিজের ঘাড়ে নিলেন। প্রসঙ্গ এর আগে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিল
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাকযুদ্ধের কথা অস্বীকার করার দিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন তিনি দলের শৃঙ্খলা পরায়ণ সৈনিক। তারপরের দিনই বিরোধী দলনেতা তারিখ রাজনীতির দায় নিজের ঘাড়ে নিলেন।
প্রসঙ্গত এর আগে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তারিখ রাজনীতি নিয়ে কার্যত বিরোধিতা করেছিলেন।
তারিখ ঘোষণা নিয়ে অবস্থান ব্যক্তিগত
ডিসেম্বরে রাজ্যে রাজনৈতিকভাবে বড় ঘটনা ঘটার ইঙ্গিত করেছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তবে অন্যদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, বড় চোর ধরা পড়বে। পাশাপাশি তিনি একইসঙ্গে তিনটি তারিখের কথাও ঘোষণা করেছিলেন। সেইগুলি হল ১২ ডিসেম্বর, ১৪ ডিসেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর। ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর রাজ্য বিজেপির জন্য সুবিধার কিছু না হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে। উপরন্তু ১২ ও ১৪ ডিসেম্বরের দুই ঘটনা নিয়ে প্রচার শুরু করে তৃণমূল। ১২ ডিসেম্বর লালন শেখের মৃত্যু আর ১৪ ডিসেম্বর বিরোধী দলনেতার কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩ জনের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় তৃণমূল বিজেপিকে নিশানা করে। শুক্রবার বাঁকুড়ার ওন্দা এবং হুগলির ব্যান্ডল শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তারিখ নিয়ে তিনি যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। রাজ্যের ডাকাতদের জেলে ঢোকানোর কথা তিনি বলেছিলেন, মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
কোনও তারিখ ঘোষণার বিরোধী সুকান্ত
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর ঝামাকার তারিখ ঘোষণার পরে সাংবাদিকদের প্রথম প্রশ্ন ছিল রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে। তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দুদা তারিখ বলেছেন। তিনি (সুকান্ত) ওর ( শুভেন্দু অধিকারীর) মতো কোনও দিনের কথা বলতে চান না।
তারিখ রাজনীতির বিরোধিতা করেছিলেন দিলীপ
এই তারিখ রাজনীতিক বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের তারিখের রাজনীতি তিনি করেন না। সঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন, তারিখ মিলিয়ে শুধু ভোটটাই হতে পারে। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর মর্নিং ওয়াকে প্রেস মিটের বিরোধিতা এবং দিলীপ ঘোষের মর্নিং ওয়াকে দম লাগে প্রসঙ্গ চলে আসে। এরপর শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাকযুদ্ধের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বের সময়েই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ সাহায্য করেছিলেন।
লোকসভায় আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা
শুভেন্দু অধিকারী রাজনীতিটা করেছেন একেবারে ছাত্র অবস্থা থেকে। বুথস্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে না পারলে নির্বাচনী জয় যে সম্ভব নয়, তা তিনি ভাল করেই জানেন। দলের বৈঠকে নিচু তলায় কর্মী না থাকার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা সতর্ক করে বলেছেন, মিছিলে লোক হলেও বুথে লোক না পাওয়া যাচ্ছে না। অঙ্ক কষে না এগোলে লোকসভায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। নিচুতলায় যোগাযোগ বাড়াতে পঞ্চায়েতে ঘোরা এবং গ্রামে কর্মীদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী দলের সামনে অন্তত ২৫ টি আসনে জেলার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন।
Weather News: মরশুমের শীতলতম দিন, ৪৮ ঘন্টায় ৩ ডিগ্রির বেশি পারদ পতন! বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়া একনজরে