আদালতের রায়ে কি ঘেঁটে যাবে বীরভূমের অঙ্ক! কেষ্টর মন্তব্যে প্রমাদ গুণছেন বিরোধীরা
হাইকোর্টের রায়ের পরও অবশ্য অনুব্রত মণ্ডল সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি তৈরি আছেন। আর তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
হাইকোর্টের রায়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাড়তি একদিন বরাদ্দ হতেই ঘেঁটে গেল অনুব্রত মণ্ডলের অঙ্ক। ভোটের আগেই বীরভূম জেলা পরিষদ বিরোধীশূন্য করেছিলেন তৃণমূল জেলা কংগ্রেস সভাপতি। হাইকোর্টের রায়ের পরও অবশ্য অনুব্রত মণ্ডল সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি তৈরি আছেন। আর তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
গত ৯ এপ্রিল মনোনয়ন পর্ব শেষ হতেই বীরভূম জেলা পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৪২টির মধ্যে ৪১টি আসনেই জয়ী হন শাসক দলের প্রার্থীরা। পরে অপর আসনটিতেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন বিজেপি প্রার্থী। ফলে জেলা পরিষদ বিরোধী শূন্য হয়ে যায় ভোটের আগেই।
মনোনয়নের বাড়তি দিনে আদৌ বীরভূম জেলা পরিষদে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। বীরভূমে পঞ্চায়েতের একটি স্তরে ভোট কার্যত বন্ধ হতে বসেছিল। এখন দেখার বীরভূমের সেই স্তরে অর্থাৎ জেলা পরিষদের কোনও আসনে ভোট হয় কি না। বিরোধীরা প্রার্থী দিয়ে গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারেন কিনা।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমি প্রস্তুত। বীরভূম জেলা পরিষদে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি, সেটা বিরোধীদের দুর্বলতা। তাঁর এই মন্তব্যেই আগুনে ঘি পড়ে। বিরোধীরা মনে করছেন, ফের মনোনয়ন নিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হবে জেলায়। তাঁর হুঁশিয়ারিই দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় জানান, আমরাও তৈরি আছি। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। সেইসঙ্গে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে। কংগ্রেস ও সিপিএমও প্রস্তুত মনোনয়নপত্র পেশ করার ব্যাপারে। তাঁরাও প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানান।
কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, আমরা আশঙ্কায় আছি। তার কারণ আদালত রায় দিলেও আদৌ কি মনোয়ন জমা দেওয়ার পরিবেশ থাকবে? আমাদের আশঙ্কা ফের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করা হবে। আর তা হলে পুনর্মুষিকঃ ভবঃ। সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমও অনুব্রতর হুঁশিয়ারিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। প্রশাসনকে মনোনয়ন নিশ্চিত করার বার্তা দেন।