বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতার দলবল নিয়ে যোগ পদ্মশিবিরে
ফের সিপিএমে ধস নামল। ধর্মতলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভার দিনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এসে পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন সিপিএমের জেলা পরিষদ সদস্য।
ফের সিপিএমে ধস নামল। ধর্মতলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভার দিনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এসে পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন সিপিএমের জেলা পরিষদ সদস্য। তিনি তিন হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা ছিলেন সিপিএম নেতা রমণীরঞ্জন দাস। তিনি দল ছেড়ে সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি তোপ দাগেন বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন সিপিএম বা বামফ্রন্টে থেকে আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার অবস্থা নেই। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার পরিস্থিতিই নেই দলে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতেই দলবদল করলাম।
রমণীরঞ্জনবাবুর অভিযোগ, বাম দলে তৈরি হয়েছে ক্ষয়িষ্ণু পরিবেশ। ক্রমেই শক্তি হারাচ্ছে দল। দলের মধ্যে কোনও গঠনমূলক চিন্তাভাবনা নেই। বাম নেতৃত্ব প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার মতো কোনও পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। আর উল্টোদিকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল গোটা বাংলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।
এই অবস্থা থেকে রাজ্যকে মুক্ত করার জন্যই এই মুহুর্তে বিজেপিই সঠিক মঞ্চ বলে মনে হয়েছে। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম। বিজেপির সৈনিক হিসেবে কাজ করব। তিনি বলেন, জেলা সভাপতিকে আগেই জানিয়েছিলাম, রাজ্যে লালের দিন শেষ হয়েছে। সবুজের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গেরুয়াই সঠিক জায়গা। আমি বিজেপিতে যোগ দিতে চাই। সেইমতো বিজেপি জেলা সভাপতি ত্রিদিব মণ্ডল পতাকা তুলে দেন রমণীরঞ্জন দাসের হাতে।
[আরও পড়ুন:১৯টি রাজ্য-জয়ের কোনও দাম নেই! মমতার রাজ্যে এসে কেন এ কথা অমিত শাহের]
জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা রমণীরঞ্জন দাস সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে আসায় কুলতলি এলাকায় সিপিএম অপ্রাঙ্গিক হয়ে পড়ল একেবারে। রমণীরঞ্জন দাসের যোগদানে বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধি পেল। এই মুহূর্তে মূল দুই শক্তি হল তৃণমূল আর বিজেপি। কংগ্রেস ও সিপিএম এলাকায় ছোট শক্তিতে পরিণত হল।
[আরও পড়ুন:বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা! অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম ডায়মন্ডহারবার]