উলটপুরান! তৃণমূলের ঘর ভেঙে পুরসভার ক্ষমতা হস্তান্তর, ফের শাসক সংকটে পুরুলিয়ায়
এ যেন উলটপুরান। কদিন আগেই কংগ্রেস ভাঙিয়ে পুরসভার বোর্ড দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পাল্টা দিয়ে বিরোধীরা ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল।
এ যেন উলটপুরান। কদিন আগেই কংগ্রেস ভাঙিয়ে পুরসভার বোর্ড দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পাল্টা দিয়ে বিরোধীরা ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থায় ঝালদা পুরসভার ক্ষমতা এখন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের হাতে। সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমও। নাটকের পক নাটক অব্যাহত পুরুলিয়ার এই পুরসভায়।
ভোটের পর একটা আসনও জোটেনি। তবু কংগ্রেসকে ভেঙে এই পুরসভা নিজেদের দখলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তা ধোপে টিকল না। তৃণমূলের মধ্যেই ভাঙন ধরে গেল। ফলে তৃণমূলের তেয়ারম্যানকে সরিয়ে নতুন করে চেয়ারম্যান নির্বাচন হল। চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলেরই একজন। তবে তিনি সরকারিভাবে তৃণমূল নন। তিনি বিক্ষুব্ধ। কংগ্রেস ও সিপিএম তৃণমূলকে ভেঙে বদলা নিল ঝালদায়।
জেলার একেবারে পশ্চিমপ্রান্তে এই পুরসভা। পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন দলেরই একাংশ। ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ন-জন কাউন্সিলরই অনাস্থায় সই করেন। এরপর চিঠি দেন মহকুমা শাসককে। যে ন-জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন, তাদের মধ্যে চারজন তৃণমূলের, তিনজন কংগ্রেসের এবং একজন করে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের।
উপপুরপ্রধান কাঞ্চন পাঠকের নেতৃত্বে এই অনাস্থায় জয়ী হন বিক্ষুব্ধরাই। ফলে জালদা পুরসভায় ক্ষমতা হস্তান্তর হয় প্রবল তৃণমূল হাওয়ার মধ্যেই।
[আরও পড়ুন:কলাপাতার থালা তবু জুটেছিল, এবার চেয়ারও জুটল না অমিত শাহের, কটাক্ষ মদনের]
[আরও পড়ুন: বিজেপি সভাপতি ঢুকতেই ওঁরা বলল- আমরা তৃণমূল করি! তা শুনেই ফিরেছিলেন অমিত]