সপ্তাহের চারদিন কলকাতায় নামবে না দিল্লি-মুম্বই থেকে আসা কোনও বিমান! বুধেই জারি হচ্ছে নয়া এই নিয়ম
কার্যত আয়ত্তের বাইরে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় প্রায় ৯ হাজার মানুষ করোনা সংক্রমিত। স্বাস্থ্যভবনের পূর্বাভাস সত্যি হলে আগামী আর কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ করোনা সংক্রমিত হতে পারে। যদিও আছ
কার্যত আয়ত্তের বাইরে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় প্রায় ৯ হাজার মানুষ করোনা সংক্রমিত। স্বাস্থ্যভবনের পূর্বাভাস সত্যি হলে আগামী আর কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ করোনা সংক্রমিত হতে পারে। যদিও আছড়ে পড়া এই থার্ড ওয়েভকে রুখতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকেই একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এবার সেখানে দাঁড়িয়ে বিমান চলাচলে আরও কড়া পদক্ষেপ নবান্নের।
গত রবিবারই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ঘোষণা করেছিলেন, ৩ জানুয়ারি, অর্থাৎ সোমবার থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে মুম্বই ও দিল্লি থেকে নামবে সপ্তাহে দু'টি করে বিমান। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত বদল করল নবান্ন।
বিধিতে বেশ কিছু বদল আনা হল। সংক্রমণের চেহারা দেখার পরেই সিদ্ধান্তে বদল। নতুন করে বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নয়া নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা জানিয়েছেন, দু'দিন নয়, সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে পারবে দিল্লি ও মুম্বই থেকে আসা বিমান। সপ্তাহের বাকি চার দিন কোনও বিমান এই সমস্ত রাজ্যগুলি থেকে আসবে না। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ৫ জানুয়ারি থেকেই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে।
এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। একদিকে করোনা বাড়ছে অন্যদিকে হু হু করে এই দুই রাজ্যে ছড়াচ্ছে ওমিক্রনও। গত ২৪ ঘন্টায় মহারষ্টড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশী মানুষ। কার্যত একই ছবি দিল্লিতেও। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এই দুই রাজ্য থেকে কলকাতায় বিমান ওঠানামায় এবার কড়া হাতে রাশ টানল রাজ্য।
নবান্ন মনে করছে, এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বাংলায় ঠেকানো যাবে করোনার সংক্রমণ। ইতিমধ্যে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কথা চিঠি মারফৎ কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সচিবকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী তিন তারিখ রাতেই কলকাতা থেকে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে শেষ বিমান উড়ে গিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কলকাতায় আর নামবে না ব্রিটেনের কোনও বিমান। এছাড়াও যে সমস্ত দেশগুলি চূড়ান্ত ঝুঁকিতে রয়েছে সেখান থেকেও বিমান ওঠানামায় বেশ কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিদেশ থেকে আসা সমস্ত যাত্রীর আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও আরও একগুচ্ছ বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। কিন্তু এতেও কি পরিস্থিতি রোখা সম্ভব? চিকিৎসকদের একাংশের মতে সাধারণ মানুষ এখনও সচেতন নয়। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাটা থেকেই যাচ্ছে।