ভোট বাড়লেও তিন কেন্দ্রে জমানত জব্দ বামেদের, একা লড়াই করলেন শান্তিপুরের সিপিএম প্রার্থী সৌমেন মাহাত
ভোট বাড়লেও তিন কেন্দ্রে জমানত জব্দ বামেদের, একা লড়াই করলেন শান্তিপুরের সিপিএম প্রার্থী সৌমেন মাহাত
উপনির্বাচনে রাজ্যে বাম (left) তথা সিপিএম (cpim)-এর ভোট আরও কমল। চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে (byelection) তিন কেন্দ্রে বাম প্রার্থীদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শুধুমাত্র শান্তিপুরের (Santipur) সৌমেন মাহাত (Soumen Mahato) তাঁর জমানত বজায় রাখতে পেরেছেন। শতাংশের নিরিখে বামেদের ভোট বেড়েছে।
দিনহাটার ফলাফল
দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ পেয়েছেন ১,৮৯,৫৭৫ ভোট। শতাংশের নিরিখে ৮৪.১৫ শতাংশ। তাঁর ভোটের হার বেড়েছে ৩৬.৫৭ শতাংশের মতো। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের অশোক মণ্ডল পেয়েছেন ২৫, ৪৮৬ ভোট। শতাংশের নিরিখে ১১.৩১ শতাংশ। তাঁর ভোট কমেছে ৩৬.২৯ শতাংশ। অন্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৬,২৯০ ভোট। ২.৭৯ শতাংশ। তাঁর ভোট বেড়েছে ০.৩০ শতাংশ। এক্ষেত্রে মনে হচ্ছে বিজেপির কমে যাওয়া ভোটের প্রায় পুরোটাই পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। আর বাম প্রার্থী পেয়েছেন সেই ভোটের খুব সামান্য অংশ।
শান্তিপুরের ফলাফল
শান্তিপুরে তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী পেয়েছেন ১,১২,০৮৭ ভোট। ৫৪.৮২ শতাংশ। ভোট বেড়েছে ১২.১৭ শতাংশ। বিজেপির নিরঞ্জন বিশ্বাস পেয়েছেন ৪৭,৪১২ ভোট। ২৩.২২ শতাংশ। তাঁর ভোট কমেছে ২৬.৭২ শতাংশ। সিপিএম-এর সৌমেন মাহাত পেয়েছেন ৩৯৯৫৮ ভোট। ১৯.৫৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে পুরো ভোটের অংশই নতুন। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল পেয়েছেন ২৮৭৭ শতাংশ ভোট। ১.৪১ শতাংশ। ভোট করেছে ৩.০৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে মনে হচ্ছে বিজেপি এবং কংগ্রেসের ভোটের বড় অংশ পেয়েছেন সৌমেন মাহাত। আর অন্য অংশ পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
খড়দহের ফলাফল
খড়দহে তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ১,১৪,০৮৬ ভোট। ৭৩.৫৯ শতাংশ। ভোট বেড়েছে ২৪.৫৫ শতাংশ। বিজেপির জয় সাহা পেয়েছএন ২০২৫৪ ভোট। ১৩.০৭ শতাংশ। ভোট কমেছে ২০.০৬ শতাংশ। সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস পেয়েছেন ১৬১১০ ভোট। ১০.৩৯ শতাংশ। তাঁর ভোট কমেছে ৪.৩১ শতাংশ। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থীর কমে যাওয়া ভোটের পুরোটাই গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর দিকে।
গোসাবার ফলাফল
গোসাবায় তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল পেয়েছেন ১৬১,৪৭৪ ভোট। ৮৭.১৯ শতাংশ। তৃণমূলের ভোট বেড়েছে ৩৩.২০ শতাংশ। বিজেপির পলাশ রানা পেয়েছেন ১৮.৪২৩ ভোট। ৯.৯৫ শতাংশ। বিজেপির ভোট কমেছে ৩২.৯৩ শতাংশ। আরএসপির অনিল মণ্ডল পেয়েছেন ৩,০৭৮ ভোট। ১.৬৬ শতাংশ। তাঁর ভোট কমেছে ০.৮৩ শতাংশ। এখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি এবং আরএসপির কমে যাওয়া ভোটের প্রায় সবটাই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।
সৌমেন মাহাতকে বাদ দিয়ে ৩ বাম প্রার্থীর জমানত জব্দ
এবারের উপনির্বাচনে দিনহাটা, খড়দহ ও গোসাবার বাম প্রার্থীদের জমানত জব্দ হয়েছে। একমাত্র জমানত রাখতে পেরেছেন শান্তিপুরের সৌমেন মাহাত। বিজেপির ক্ষেত্রেও দিনহাটা, খড়দহ ও গোসাবার প্রার্থীদের জমানত জব্দ হয়েছে।
২০২১-এর বিধানসভা আর উপনির্বাচনের ভোটের শতাংশের তুলনা
২০২১-এর
বিধানসভা
নির্বাচনে
তৃণমূল
পেয়েছিল
৪৮.৫১
শতাংশ
ভোট।
বিজেপি
পেয়েছিল
৩৮.২৬
শতাংশ।
কংগ্রেস
পেয়েছিল
৯.৭২
শতাংশ
ভোট।
অন্যদিকে
বামেদের
মধ্যে
সিপিএম
৯.৮৯%,
ফরওয়ার্ড
ব্লক
৭.৩৭%,
আরএসএপি
৬.৩২%,
সিপিআই
৫.৫৩%।
উল্লেখ
করা
প্রয়োজন
কেউই
২৯৪টি
আসনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেনি।
অক্টোবরের
উপনির্বাচনে
তৃণমূল
পেয়েছে
৭৪.৪৯%,
বিজেপি
১৪.৫০%,
সিপিএম
৭.২৮%,
ফরওয়ার্ড
ব্লক
০.৮২%,
আরএসপি
০.৪০%
এবং
কংগ্রেস
০.৩৭%।
ভোট বেড়েছে বামেদের, সিপিএম-এর
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট ছিল ৫.৬৭%। এবারের উপনির্বাচনে সেই ভোট বেড়ে হয়েছে ৮.৪৯ শতাংশ। ভোট বৃদ্ধি হয়েছে ২.৮২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম-এর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪.৭৩%। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৭.২৭%। ভোট বেড়েছে ২.৫৪%।