গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত মাত্র ১৯২৩ জন! আতঙ্ক কাটিয়ে সুস্থ হচ্ছে বাংলা
অনেকটাই সংক্রমণকে ঠেকানো গিয়েছে। সেকেন্ড ওয়েভে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। বুধবার নবান্নে এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত বাস্তবে সত্যি হতে চলেছে তাঁর কথা। ক্রমশ কমছে বাংলায় সংক্রমণের সংখ্যা। যা অবশ্যই
অনেকটাই সংক্রমণকে ঠেকানো গিয়েছে। সেকেন্ড ওয়েভে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। বুধবার নবান্নে এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত বাস্তবে সত্যি হতে চলেছে তাঁর কথা। ক্রমশ কমছে বাংলায় সংক্রমণের সংখ্যা। যা অবশ্যই স্বস্তির বার্তা। শুধু সংক্রমণ কমা নয়, ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে বাংলা। প্রত্যেকদিন করোনা জয়ীর সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে। তবে সেকেন্ড ওয়েভ সামাল দেওয়া গেলেও থার্ড ওয়েভ নিয়ে চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে তৃতীয় ওয়েভের ধাক্কা সামলাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
এক নজরে করোনা আক্রান্ত
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১,৯২৩ জন। যা বুধবার তুলনায় কিছুটা কম। এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৮৯,২৮৬ জন। অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজারের কাছাকাছি। যা অনেকটা আশা জাগাচ্ছে ডাক্তারদের মনে।
ক্রমশ বাড়ছে করোনা জয়ীর সংখ্যা
সুস্থতার হার বাংলাতে আশা জাগাতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টাতে করোনাকে জয় করেছেন ১৯৫২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪, ৪৯, ৪২৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭. ৩৩ শতাংশ। চিকিৎসকমহলের একাংশের মতে, যেভাবে আশা জাগাচ্ছে সুস্থতার হার। তাতে খুব শিঘ্র করোনাকে জয় করতে পারবে বাংলা।
আরও কমল মৃতের সংখ্যা
গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৪১ জনের। যা গত ৪৮ ঘন্টার থেকে কিছুটা কম। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৭, ৫১৬ জনের।
কাজে এসেছে লকডাউন
প্রায় দুমাস হতে চলেছে বাংলাতে কার্যত লকডাউন চলছে। একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সংক্রমণের চেন ভাঙতে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেনও। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি শিথিল হলেও এখনও পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষে নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রেন চালালে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে।
তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে চিন্তিত মমতা
সেকেন্ড ওয়েভ সামলে দেওয়া গিয়েছে। গত কয়েকমাস আগেও যেখানে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের উপরে চলে গিয়েছিল সেখানে এখন সংক্রমণের হার মাত্র ৭ শতাংশ। যা ভালো বলে মন্তব্য মমতার। তবে তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কারণে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বাড়ানো হচ্ছে বেডের সংখ্যা। ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের মায়েদের যাতে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া যায় সেদিকে বাড়তি নজর মমতার।