প্রত্যেকদিন চার হাজার টাকার জেতার ছক! কীভাবে কাজ করত E-Nuggets অ্যাপ
গার্ডেনরিচে যখের ধন! পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৮ কোটি টাকা। তবে টাকা গণনার কাজ এখনও চলছে জানাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত মোবাইল গেমিং অ্যাপ
গার্ডেনরিচে যখের ধন! পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৮ কোটি টাকা। তবে টাকা গণনার কাজ এখনও চলছে জানাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
গার্ডেনরিচ ছাড়াও পার্কস্ট্রিট সহ শহরের বিভিন্ন অংশে ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে বলেই খবর। কিন্তু কীভাবে মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে বোমা বানানো হত?
E-Nuggets mobile gaming app
E-Nuggets মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমেই চলত গোটা প্রতারণার ছক! ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে দেওয়া হত মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকি প্রত্যেকদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা সহজেই জেতার টোপ দেওয়া হত বলেও খবর। মূলত অনলাইন লটারির মাধ্যমে টাকা জেতার ছক ছিল। আর সেই লোভে গ্রাহকরা অ্যাপটি ডাউনলোড করে খেলা শুরু করার পরেই কমিশনের ভিত্তিতে মোটা অঙ্কের পুরস্কার দেওয়া হত প্রথমে। আর সেই টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সোজা পড়ে যেত।
গ্রাহকের তথ্য চলে যেত
আর এরপরেই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সহ গ্রাহকের তথ্য চলে যেত অ্যাপ ড্যাভালোপারদের কাছে। মানুষের লোভ একবার তৈরি হয়ে যেত আর সেই সুযোগে এবার বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করার কথা বলা হত। আর সেই লোভে গ্রাহকরা বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করা মাত্র কেল্লাফতে! টাকা তোলার সমস্ত অপশন বন্ধ করে দেওয়া হত। এমনকি সার্ভারের সমস্ত অ্যাডমিন ও অ্যাপ্লিকেশন ডিটেল মুছে যেত। আর সেভাবেই ওই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
নাম জড়াল আমির খানের
তদন্তকারী সূত্রে জানা যাচ্ছে, 'ই-নাগেট' গেমিং অ্যাপটি তৈরি করেছিল নাসের আহমেদ খানের ছেলে আমির খান। নাসের আহমেদ খান আদৌতে একজন পরিবহণ ব্যবসায়ী। তদন্তকারীদের অনুমান, আমির গোটা দেশজুড়ে এই কেলেঙ্কারির জাল ছড়িয়ে ছিল। প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা বাজার তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে প্রাথমিক ভাবে আমিরের বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান।
কিন্তু কীভাবে এই কেলেঙ্কারি জানা গেল-
পার্ক স্ট্রিট থানায় এই সংক্রান্ত একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। আর তা হয় ২০২১ সালে। মূল অভিযুক্ত আমির খান এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়। ৪২০, ৪০৬, ৪০৯, ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭১ সহ বেশ কয়েকটি ধারায় এই মামলা হয়। যদিও কলকাতা পুলিশ এই বিষয়ে কিছু করেনি বলে অভিযোগ। তবে এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রক বেশ কিছু তথ্য পায়। আর সেই ঘটনার তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এরপরেই এত বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস।