এনসেফেলাইটিসে কলকাতায় মৃত ১, বিশেষজ্ঞদের মতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রাজ্যে
কল্যানীর বাসিন্দা নারায়ণবাবু কর্মূত্রে গুয়াহাটির বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ৩ জুলাই জ্বর নিয়ে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু কী থেকে জ্বর তা ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। বেশকিছুদিন কেটে গেলেও জ্বর কমার নামগন্ধ ছিল না। তাই সেখান থেকে ২২ জুলাই কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে ২৪ জুলাই স্থানান্তরিত করা হয় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। সেখানেই সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষায় ধরা পড়ে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত নারায়ণবাবু।
একটি আলাদা একটি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল নারায়ণবাবুকে। তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরেও পাঠায় হাসাপাতল কর্তৃপক্ষ। এনসেফেলাইটিসের চিকিৎসার যোগ্য পরিকাঠামো থাকলেও নারায়ণবাবুর জ্বর কিছুতেই কমানো যাচ্ছিল না। শরীরে জাপানি এনসেফেলাইসির জীবাণু থাকায় অতিরিক্ত সতর্কতাও নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিন রাতে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। আজ শুক্রবার ভোররাতেই মৃত্যু হয় তার।
এই নিয়ে রাজ্যে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌছল ১৩৭-এ। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে বৃষ্টি কম হওয়ায় মশার প্রকোপ বাড়ছে। এবং তার ফলেই বেড়ে চলেছে এনসেফেলাইটিসের প্রকোপও। বৃষ্টি না হলে এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।