মহিষাদলে কনস্টেবল খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক
মহিষাদল (পূর্ব মেদিনীপুর), ৯ জানুয়ারি : পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল এলাকার কাপাসবেড়িয়ায় দুষ্কৃতীদের হাতে পুলিশ কনস্টেবল নবকুমার হাইতের খুনের ঘটনায় অমর সানি নামে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। [টহলদারিতে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন পুলিশ কনস্টেবল]
বৃহস্পতিবার রাতে রুটিন টহলদারিতে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন কনস্টেবল নবকুমারবাবু। খালি হাতেই তিনি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমে পড়েন। সেই খুনেই সরাসরি জড়িত সানিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থেকে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে মহিষাদলে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
রোজকার মতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে এক এসআই ও আর এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে টহলদারিতে বেরোন নবকুমারবাবু। মহিষাদলের কাপাসবেড়িয়া সেতুর কাছে দুই সন্দেহভাজনকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল পুলিশ। ঠিক তখনই পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে বোমা ছুঁড়তে শুরু করে ওই দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এরপর পালাতে গেলে নবকুমার হাইত একজনকে ধরে ফেলেন। সঙ্গীকে ছাড়াতে আর একজন তখন নবকুমারবাবুকে সামনে থেকে গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় নবকুমার মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
টহলদারি ভ্যানে তখন একজন ইনস্পেক্টর ও আরও দুজন কনস্টেবল ছিলেন। তাঁরা কেন সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নিহত পুলিশকর্মীর বাড়ির লোকেরা।
এছাড়া দুষ্কৃতীদের হাতে যেখানে অত্যাধুনিক অস্ত্র উঠে এসেছে, সেখানে আইনের রক্ষক হয়ে পুলিশের হাতে কেন এখনও মান্ধাতা আমলের রাইফেল বা পিস্তল দেওয়া থাকে? এমন অবস্থা চলতে থাকলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনও পুলিশকর্মী কি এগিয়ে আসবেন সাধারণ মানুষের ত্রাতা হয়ে? সেই প্রশ্নও করছেন পুলিশেরই কেউ কেউ।