রাজ্যে একের পর এক পথ দুর্ঘটনা, পৃথক ৯ ঘটনায় মৃত ১২, জখম ২৪
শহর-শহরতলি থেকে জেলা, গাড়ি দৌরাত্ম্যে একের পর এক দুর্ঘটনা। রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত পৃথক ন’টি দুর্ঘটনায় রাজ্যে মৃত্যু হল ১২ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ২৪ জন।
কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি : শহর-শহরতলি থেকে জেলা, গাড়ি দৌরাত্ম্যে একের পর এক দুর্ঘটনা। রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত পৃথক ন'টি দুর্ঘটনায় রাজ্যে মৃত্যু হল ১২ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ২৪ জন। হতাহতের তালিকায় রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও। মৃত্যু হয়েছে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, জখম হয়েছেন ১৭ জন পরীক্ষার্থী। হাসপাতালে থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে ন'জন। পরীক্ষা দিতে পারছে না আট জন।[রেলিং-এ ধাক্কা বাইকের, ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ ২]
কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন পথ দুর্ঘটনার বলি হতে হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে। কোথাও বেপরোয়া বাইক, অটো দৌরাত্ম্য, কোথাও বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু। গত রাতে কামালগাজিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা মারে বাইক। ছিটকে ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় বাইক আরোহী মাধ্যমিক ছাত্রী পায়েল গুহর। বাইক চালক পায়েলের বন্ধু রাহুল মুখোপাধ্যায়েরও মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে।[কয়েক মিনিটের জন্য একা ছাড়ায় সর্বনাশ, ওয়াশিংমেশিনের জলে ডুবে মৃত ৩বছরের যমজ শিশু]
সোমবার ভোররাতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ছ'নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়ি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু'জনের। মৃতরা হলেন সাঁকরাইলের আশিস জানা ও সাঁতরাগাছির আশু চক্রবর্তী। জখম হন দু'জন। তাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে ওড়িশার বালেশ্বর গিয়েছিলেন তাঁরা।[রেগে গিয়ে স্টাম্প ছুঁড়লেন ব্যাটসম্যান, মৃত ১৪ বছরের ফিল্ডার]
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় সূর্যনারায়ণ বেরার। তারপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বালি বোঝাই লরিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশও আক্রান্ত হন। হামলা করা হয় পুলিশভ্যানে। বারাকপুরে পৃথক দু'টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চারজনের। লালকুঠি মোড় ও চক কাঁঠালিয়া এলাকায় দু'টি দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকের সঙ্গে গতিধারা প্রকল্পের একটি গাড়ির সঙ্ঘর্ষ হয়। গাড়ির ভিতরে ছিলেম বিপ্লব চক্রবর্তী ও সৈকত দে ছিলেন। তাঁদের হাসাপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য ঘটনায় ট্রাক ও বাইকের সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু হয় গোপী হেলা ও রাজু সাউয়ের।[কী হয়েছিল এমএইচ ৩৭০ এর?]
বিমানবন্দরের তিন নম্বর গেটের সামনে অটো উল্টে গুরুতর জখম হন পাঁচজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁদের হাসাপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েই পরীক্ষা দেয়। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্য হয় দুই স্কুল পড়ুয়ার। জখন হয় পাঁচজন।
ঘাতক গাড়িটিতে ভাঙচুর চালানো হয়। অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। ইটাহারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গাড়ি উল্টে জখন হয় ১২ জন। তাঁদের মধ্যে ন'জন হাসপাতালে পরীক্ষা দিচ্ছে। তিনজন পরীক্ষা দিতে পারছে না। উল্টোডাঙায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর।