জঙ্গলমহল থেকে ১৪ কোম্পানি বাহিনী তোলা নিয়ে ফের সরগরম কেন্দ্র ও রাজ্য
জঙ্গলমহল থেকে ১৪ কোম্পানি বাহিনী তোলা নিয়ে ফের সরগরম কেন্দ্র ও রাজ্য
রাজ্যকে না জানিয়েই জঙ্গলমহল থেকে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ায় ফের সরগরম কেন্দ্র ও রাজ্যের সমঝোতায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে নবান্নে। রাজ্য রাজনীতিতেও শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্যের শাসক দলের দাবি, রাজ্য সরকারকে আগে থেকে না জানিয়ে এত বড় সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি কেন্দ্রের। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি রাজ্য শাসকদলের। বড়সড় কোনও ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে যা বাস্তবায়িত করতেই রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই কেন্দ্র এই পদক্ষেপ করেছে বলে দাবি শাসক শিবিরে।
জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফের ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সিআরপিএফের ৫০ ও ১৬৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের মোট ১৪ কোম্পানি আধাসেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে এই জেলাগুলিতে নজরদারির ক্ষেত্রে এখন থেকে যেমন রাজ্য পুলিশকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে তেমনি ঘাটতি পড়বে টহলদারির ক্ষেত্রেও যা মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির পথে সহায়ক হয়ে উঠবে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বীরভূম মিলিয়ে সিআরপিএফের মোট ৭টি ব্যাটেলিয়ন ছিল। তার মধ্যে দুই ব্যাটেলিয়ন চলে যাওয়ায় জঙ্গলমহলে রইল মাত্র ৫টি ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে ৬৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ২ কোম্পানি করে মোট ৪ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ৭টি কোম্পানির মধ্যে ঝাড়গ্রামে রইল ৫ কোম্পানি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ও বাঁকুড়ায় রইলো ১টি করে কোম্পানি।
এদিন তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যের রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো জানান, 'দুই ব্যাটেলিয়নের ১৪ কোম্পানি বাহিনী তুলে নেওয়ার পেছনে কেন্দ্রের রাজনীতি রয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলকে অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি সরকার। ফি বছর কিষাণজির মৃত্যুবার্ষিকীতে সিপিআই (মাওবাদী) দেশের মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে শহিদ সপ্তাহ পালন করে। ঠিক তার আগে কেন রাজ্যকে কিছু না জানিয়ে কেন্দ্র বাহিনী প্রত্যাহার করলো!'